কর্পোরেট রিপোর্টার : চলতি অর্থবছর দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। এর পরিমাণ ৮৬৫ কোটি ডলার। গত বছরের তুলনায় তা ১৫ গুণ বেশি। আর দেশি-বিদেশি মিলে নিবন্ধিত মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ১ হাজার ৯৭৫ কোটি ডলার। বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ বলছে, সম্প্রতি চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের বড় প্রস্তাব দিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে চলতি ২০১৬ সালের প্রথম দশ মাসেই বিদেশি বিনিয়োগ নিবন্ধন হয়েছে রেকর্ড ৮৬৫ কোটি ৩৩ লাখ মার্কিন ডলার, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ তো বটেই, গত বছরের তুলনায়ও তা ১৫ গুণ বেশি। শুধু নিবন্ধন নয়, প্রকৃত বিনিয়োগও ইতিহাসের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গেল অর্থবছর দেশে প্রকৃত বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ২০০ কোটি ডলারেরও বেশি। বিশ্লেষকরা একে দেখছেন ইতিবাচক হিসেবে। তবে একে প্রকৃত বিনিয়োগে রূপ দিতে প্রয়োজনে বড় বড় বিনিয়োগকারীদের কিছুটা ছাড় দেয়ারও পরামর্শ দেন।
স্যামসাং বিশ্বখ্যাত ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। সাফল্য আর প্রবৃদ্ধির অপূর্ব এক মেলবন্ধন এই কোম্পানিটির পালকে। এক সময় বিনিয়োগের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশে। তবে যথাযথ পরিচর্যা ও কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে বিমুখ হয়ে বিনিয়োগ করে ভিয়েতনামে। এরপর ভিয়েতনামের উন্নয়ন এক রূপকথার গল্প। সময়ের পরিক্রমায় অনেক বদলে গেছে বাংলাদেশ। সহজ নীতি কৌশলের কারণে আগ্রহ বাড়ছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের।
সরকারের বিশ্লেষকরা প্রকৃত ও নিবন্ধিত উভয় বিনিয়োগকেই দেখছেন ইতিবাচক হিসেবে। তবে স্যামসাংয়ের বিনিয়োগ ফিরিয়ে নেয়ার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চান না তারা। এ ক্ষেত্রে সাবেক বিনিয়োগ বোর্ডের ব্যর্থতার খোলস ছাড়িয়ে বর্তমান বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যকর ভূমিকা আশা করছেন বিশ্লেষকরা। তারা মনে করেন, শুধু নিবন্ধিত বিনিয়োগই নয়; বরং একে প্রকৃত বিনিয়োগে রূপান্তরই হবে বিডা গঠনের সার্থকতা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন