সিলেটের ওসমানীনগরে বদ্ধ ঘর থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া সামিরা ইসলাম মারা গেছেন। ১১ দিন সংজ্ঞাহীন থাকার পর শুক্রবার গভীর রাতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে প্রবাসী পরিবারটির পাঁচ সদস্যের মধ্যে তিনজনেরই মৃত্যু হল।
গত মঙ্গলবার কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ায় তার বাবা রফিকুল ইসলাম (৫১) এবং ১৬ বছর বয়সী ভাই মাহিকুল মারা যান বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ থেকে আসা পরিবারটি দুই মাসের ছুটিতে দেশে এসেছিলেন এবং সিলেট শহরে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকছিলেন। সামিরার চাচা শাবুল মিয়া বলেছেন, পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যু ‘অবর্ণনীয়ভাবে দুঃখজনক’। ‘প্রথমে বাবা-ছেলে মারা গেল, তারপর আজ মেয়েও মারা গেল। আমি তাদের জন্য জান্নাত মঞ্জুর করার প্রার্থনা করি।’
শনিবার বিকেলে বাবা-ভাইয়ের কবরের পাশে সামিরাকে দাফন করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে ৯ দিন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন সামিরার মা হোসনে আরা বেগম (৪৫) ও ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২৫)। তারা পুলিশকে বলেছেন যে, তারা যেখানে ছিলেন সেখানে একটি ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক জেনারেটর ছিল। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে ঘটনার দিন রাতে জরুরি অবস্থায় সেটি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান তারা। একাটানা দীর্ঘক্ষণ চলার কারণে জেনারেটর থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসে ঘর ভরে যায়। যার ফলে পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সুপারিনটেনডেন্ট ফরিদ উদ্দিনের মতে, পুলিশ যখন বাড়িটি পরিদর্শন করে, তখন জেনারেটর থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল। নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে বিশ্লেষণের জন্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন