শ্রাবণ মাসের শেষ সপ্তাহ চলছে। শ্রাবণ শেষ না হতেই দেশের অনেক জায়গায় ভাদ্রের তালপাকা গরম অনুভূত হচ্ছে। শ্রাবণ তথা ভরা বর্ষার ‘স্বাভাবিক’ অঝোরধারায় বৃষ্টিপাত নেই। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ, কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে বরিশাল বিভাগের খেপুপাড়ায় ৮২ মিলিমিটার। তবে ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রামে তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ৩৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ৩৩.২ ডিগ্রি সে.।
এদিকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও উড়িষ্যা উপকূলের কাছে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপ থেকে উড়িষ্যায় পরিণত স্থল নিম্নচাপটি দুর্বল লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে ছত্তিশগড়ে অবস্থান করছে। এর বর্ধিত প্রভাবে দেশের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলের চর ও দ্বীপাঞ্চলে স্বাভাবিক সামুদ্রিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় অস্বাভাবিক প্রবল জোয়ারের সতর্কতার কথা জানায় আবহাওয়া বিভাগ। সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া বিভাগ জানায়, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে
দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এরপরের ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে ভারতের উড়িষ্যা উপকূল ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপে পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে জোরালো অবস্থায় সক্রিয় রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন