শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আগস্টেই আসছে মৌসুমের শেষ আম গৌরমতি

চারা রোপনের দুই বছরের মাথায় ফলন

মো. আশিকুর রহমান টুটুল, লালপুর (নাটোর) থেকে | প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৩ এএম

আমের মৌসুম প্রায় শেষের পথে। তারপরও গাছে ঝুলছে তরতাজা কাঁচা আম। মধ্য আগস্ট থেকে নতুন জাতের আম পাকতে শুরু করবে। এই আমের নাম গৌরমতি। দুই বছর বয়সি গাছগুলোতে এসেছে প্রচুর গৌরমতি আম। নতুন জাতের অসমেয়র আমের বাগনটি গড়ে উঠেছে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিজয়পুর গ্রামে।
আমচাষী কামরুজ্জামান লাভলু তার এক বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন গৌরমতি আমের বাগান। নিবিড় পরিচর্যায় ফলনও হয়েছে ভালো। বাজারে আমের চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় লাভবান হবেন বলে আশা করেছেন সৌখিন আমচাষী কামরুজ্জামান।

প্রান্তিক কৃষক পর্যয়ে গৌরমতি আমের চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে লালপুরের আম চাষে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন এই অঞ্চলের আম চাষিরা। সরেজমিনে উপজেলার বিজয়পুর গ্রামে কামরুজ্জামানের নতুন জাতের আম বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ২৫০টি গৌরমতি আমের গাছ রয়েছে। নিবিড় পরিচর্যায় দুই বছর বয়সি গাছগুলোতে ঝুলছে তরতাজা আম।

বিষমুক্তও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে আম রক্ষায় করা হয়েছে ফ্রুট ব্যাগিং। নতুন জাতের আম দেখতে অনেকটা ল্যাংরা আমের মতো। প্রতিটি আমের ওজন ৩০০ থেকে শুরু করে ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। গৌরমতি আমের সর্বোচ্চ মিষ্টতা ২৫ দশমিক ৭৫ ভাগ। পরিপক্ক আম খেতে অত্যান্ত সুস্বাদু ও আঁশহীন। সব আমের শেষে এই আম পাকায় বাজারে গৌরমতি আমের দাম ও চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।

কামরুজ্জামান লাভলু জানান, দুই বছর আগে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে নাটোর হটিকালচার ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ হটিকালচার সেন্টার থেকে ২৫০টি গৌরমতি আমের চারা সংগ্রহ করে এক বিঘা জমিতে লাগান। চারা কেনা, সার ওষুধ, বাগান পরিচর্যা ও ফ্রুট ব্যাগিংয়ে খরচ হয়েছে এক লাখ টাকা। নিবিড় পরিচর্যায় দুই বছরের মধ্যে চলতি বছর প্রথম তার বাগানের প্রায় প্রতিটি গাছে গৌরমতি আম এসেছে।

তিনি জানান, বাগানে এবার প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মন আম হবে। প্রতি কেজি আম ৩০০ টাকা কেজি হিসেবে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার আম বিক্রি হবে বলে তিনি আশ করছেন। মধ্য আগষ্টে গাছ থেকে আম সংগ্রহ শুরু হবে। কামরুজ্জামান এই আম বাগানের পাশাপাশি নতুন করে আরো গৌরমতি আমের বাগন গড়ে তুলছেন। নতুন জাতের গৌরমতি আমের স্বাদ, বাজার দর ও চাহিদা ভালো থাকায় এলাকার অনেকই গৌরমতির বাগান গড়ে তুলতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, এই প্রথম লালপুরে কামরুজ্জামান লাভলু এক বিঘা জমিতে গৌরমতি জাতের আমের বাগান করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণে নিবিড় পরিচর্যা করায় ফলনও ভালো হয়েছে। কৃষক পর্যায়ে গৌরমতি আমের চাষ ছড়িয়ে দিতে কৃষকদের উৎসাহ প্রদান ও প্রশিক্ষণসহ সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন