পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে অর্থ পাচার হয় তাদের কাছে তথ্য চাওয়া হলেও তথ্য দিতে চায় না সেসব দেশ, এটা তাদের মজ্জাগত সমস্যা। আজ শুক্রবার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
নতুন করে সুইস ব্যাংকের কাছে অর্থ পাচারকারীদের তথ্য চাওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নে ড. মোমেন বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে অনেক আগে চিঠি দিয়ে তাদের অর্থের তথ্য চাইলে তারা শুধু একজনের তথ্য দিয়েছিলো। আরো কয়েকবার তথ্য চাওয়া হলেও তাদের রাষ্ট্রদূত বলেছেন তথ্য চাওয়া হয়নি। এই রাষ্ট্রদূত নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন তাই অনেক কিছু জানেন না।
সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের বন্ধু দেশ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদেরকে তথ্য বিভ্রাট না ঘটানোর আহবান জানান।
দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো আছে। আমরা সুখে আছি। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে; একটি পক্ষ এমন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পাঁয়তারা করছে আতঙ্ক সৃষ্টির। হ্যা, তবে আমরা এই মুহুর্তে চ্যালেঞ্জে আছি। বৈশ্বিক মন্দার কারণে কিছুটা সংকটে আমরাও। কিন্তু আমাদের রিজার্ভ যথেষ্ট আছে। তবে আগামীর সংকট বিবেচনায় কিছুটা সাশ্রয়ী হওয়ার চেষ্টা করছি আমরা।
এর আগে আজ সকাল ১০টার দিকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিরসনে এক জরুরি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিমান ও পর্যটন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, বিমাল মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, ওসমানী বিমানবন্দরের ঊর্ধতন কর্মকর্তা এবং সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগে শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন