শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ নিয়ে চিন্তিত নয় অর্থ মন্ত্রণালয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ নিয়ে চিন্তিত নয় অর্থ মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ও জিডিপি অনুপাত ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ দেয়ার শর্তের (৪০ শতাংশ) তুলনায় অনেক কম। চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের মোট ঋণ ও জিডিপির অনুপাত দাড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৪২ শতাংশে। গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। একই সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঋণ ও জিডিপির অনুপাত দাড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৫৫ শতাংশে।
২০২২ অর্থবছরের ৯ মাসের মধ্যে দেশের মোট বৈদেশিক ঋণ ১২ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত দেশের মোট বৈদেশিক ঋণ বেড়ে ৪ দশমিক ৭১ লাখ কোটি টাকায় দাড়িয়েছে। গত অর্থ বছরে যার পরিমাণ ছিলো ৪ দশমিক ২০ লাখ কোটি টাকা।
৩১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট ঋণের ৩৮ শতাংশ বৈদেশিক এবং ৬২ শতাংশ ছিল অভ্যন্তরীণ ঋণ। এসময়ে বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক ঋণের মধ্যে বহুপাক্ষিক ঋণ ছিলো ৬১ শতাংশ এবং দ্বিপাক্ষিক ঋণ ৩৯ শতাংশ। বহুপাক্ষিক ঋণের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের আইডিএ অর্থায়ন ৫৫ শতাংশ, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ঋণে ৩৯ শতাংশ। বাংলাদেশকে দ্বিপাক্ষিক ঋণের সর্বোচ্চ দাতা জাপান। মোট দ্বিপাক্ষিক ঋণের ৪৫ শতাংশ দিয়েছে জাপান। রাশিয়া ২২ শতাংশ, চীন ২১ শতাংশ, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়ার ঋণ ৪ শতাংশ করে এবং ফ্রান্স দিয়েছে ২ শতাংশ। অর্থ-মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের টেকসই ঋণ পলিসির জন্যই জিডিপি বৃদ্ধির হার এত বেশি। এবং সময় উপযোগী রাজস্ব নীতি ঘাটতির সীমা জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে বজায় রাখতে পেরেছে।
গত ৯ আগস্ট লন্ডনের ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। একটি পৃথক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, সংবাদের শিরোনামটি মন্ত্রীর প্রকৃত অবস্থানকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করে না। উল্লেখ্য, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাক্ষাৎকারের শিরোনাম করেছিল, ‘বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ঋণ নিয়ে সতর্ক করেছেন’।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন