রাজশাহীতে খুনের পর চট্টগ্রামে পালিয়ে আসা একই পরিবারের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উচ্চশব্দে গান বাজাতে নিষেধ করায় প্রতিবেশী এক ব্যক্তিকে মাথায় আঘাত ও ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এই তিনজন হলেন- বকুল আলী (৪৫) ও তার স্ত্রী মোছাম্মৎ আমেনা (৪০) এবং ছেলে নাহিদ হোসেন (২০)। তাদের বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানার হরিষার ডাইং এলাকায়। শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার মাদাম বিবিরহাট ও উত্তর সলিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব।
গত ১ আগস্ট রাতে তাদের প্রতিবেশী মুকুল আলী (৪৫) খুন হন। এ ঘটনায় রাজশাহী মহানগর পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছিল। এরা হলেন- বকুল আলীর মেয়ে খাদিজা, ভাইয়ের ছেলে মিঠুন ও মোমিন এবং আত্মীয় সোহেল ও পলাশ। র্যাব জানায়, ঘটনার রাতে নাহিদ তার ঘরে উচ্চশব্দে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে গান শুনছিলেন। নিহত মুকুলের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় এতে তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছিল এবং একপর্যায়ে তিনি অসুস্থবোধ করতে থাকেন। মুকুল গিয়ে নাহিদকে উচ্চশব্দে গান বাজানো বন্ধের অনুরোধ করেন। নাহিদ তখন শব্দ কমিয়ে দিলেও মুকুল চলে যাবার পর আবারও উচ্চশব্দে গান চালু করেন।
মুকুল ফের প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে বকুল ও তার স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়ে মিলে মুকুলের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করেন। এরপর তাকে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত করা হয়। মুকুলের চিৎকার শুনে ছেলে শাহীন আলম ও জামাতা আলমগীর সেখানে গেলে তাদেরও ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়। এ ঘটনায় মুকুলের ছেলে শামীম ইসলাম বাদী হয়ে শাহ মখদুম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, ঘটনার রাতেই বকুল তার স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে সীতাকুণ্ডে চলে আসেন। বকুল ও নাহিদ পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। চট্টগ্রামে এসে তারা একই পেশায় যুক্ত হন। উত্তর সলিমপুর এলাকায় দুই রুমের টিনশেড একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। খবর পেয়ে র্যাব তাদের গ্রেফতার করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন