চীনে রেকর্ড টানা দুইমাস ধরে প্রচন্ড তাপদাহ চলছে, পানি নেমে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ সঙ্কট। মারাত্মক খরা ও রেকর্ড ভাঙা তাপদাহের কারণে চীনের মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টি ঝরানোর চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। এশিয়ার দীর্ঘতম জলপথ ইয়াংজি নদীর পানি এখন নেমে গেছে রেকর্ড পর্যায়ে। নদীর কিছু অংশে স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেকেরও কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, জলবিদ্যুতের জন্য বানানো জলাধারগুলোর পানি অর্ধেকের মত নেমে গেছে। এদিকে গরমের মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র চালানো বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে চাপের মধ্যে পড়েছে কোম্পানিগুলো। চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, টানা দুইমাস ধরে তাপদাহ বইছে চীনে, এত দীর্ঘ সময় তাপপ্রবাহের রেকর্ড আর সে দেশে নেই। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইয়াংজি নদীর আশপাশের খরায় আক্রান্ত প্রদেশগুলো বৃষ্টিপাতের ঘাটতি মোকাবেলা ক্লাউড সিডিং বা কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানোর চেষ্টা করছে। হুবেইসহ কিছু সংখ্যক প্রদেশে রকেটের মাধ্যমে আকাশে রাসায়নিক পদার্থ ছিটানো হচ্ছে। ক্লাউড সিডিংয়ের মাধ্যমে মূলত আকাশে বৃষ্টির জন্য উপযুক্ত না হওয়া মেঘের উপরে ড্রাই আইস বা সিলভার আয়োডাইডের মত রাসায়নিক বিমান বা রকেটের মাধ্যমে ছিটানো হয়। এরপর মেঘ ঘনীভ‚ত হয়ে বৃষ্টি হয়ে মাটিতে ঝরে। কিন্তু চীনে তাপদাহের মধ্যে কিছু এলাকায় মেঘের ছিটেফোঁটাও নেই। ফলে সেসব এলাকায় কৃত্রিম বৃষ্টিও ঝরানো যাচ্ছে না। সিচুয়ান ডেইলির বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, সিচুয়ান ও প্রতিবেশী প্রদেশগুলোতে ইতোমধ্যে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলিসিয়াস অতিক্রম করেছে। কিন্তু বিদ্যুৎ সঙ্কটে সিচুয়ান কর্তৃপক্ষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের মাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না রাখার আহŸান জানিয়েছে। সম্ভব হলে শ্রমিকদের লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ সংকটে লাখ লাখ মানুষকে অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, চীনের দাঝো শহরটিতে ৫৪ লাখ মানুষের বাস, যাদের তিনঘণ্টা পর্যন্ত লোড শেডিংয়ে থাকতে হচ্ছে। তাপদাহের এলাকায় জলবিদ্যুত প্রকল্পগুলোর অর্ধেক এখন পানি নেমে যাওয়ায় উৎপাদনে যেতে পারছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন