নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের বড়ইয়াকুড়ি গ্রামের হযরত সৈয়দ মরতুজ আলী (রহ.) ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠিাতা মেহেদী জামান চয়ন। তিনি অসংখ্য ভুঁঁইফোড় সংগঠনের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অর্থ ও অনুদান সংগ্রহ করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি ও অর্থ রয়েছে বলেও জানা যায়।
জানা যায়, ২০১৮ সালে তিনি হযরত সৈয়দ মরতুজ আলী (রহ.) ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু করেন মেহেদী জামান চয়ন। একই নামে যুব সংস্থা, ক্যাবল ব্যবসা ও নিজেকে পীর বলে এলাকায় পরিচয় দেওয়া শুরু করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ ফুটের একটি টিনের ঘরে ফাউন্ডেশন, পাঠাগার ও বড়ইয়াকুড়ি সৈয়দ বাড়ী দরবার।
ঘরের ভেতরে দুইটি রুম। একটিতে ক্যাবল ব্যাবসার অফিস এবং অপরটিতে দু’টি হেঙ্গারে নামে মাত্র কিছু বই দিয়ে সাজানো। মুরাদনগর উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয় ও কুমিল্লা জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের পৃথক দুইটি নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা যায় ৪ লাখ ৮৫ হাজা ৪০০ টাকা আয় থেকে খরচ হয়ছে ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা।
এ বিষয়ে পাঠাগারের সভাপতি ও দারোরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন খন্দকার বলেন, এই সংগঠনের কার্যক্রমের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। বড় এক ভাইয়ের অনুরোধ রক্ষায় সভাপতি হয়েছি। ইতোমধ্যে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও ফাউন্ডেশেরে প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী জামান চয়নকে বলেছি।
এদিকে ওই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী জামান চয়ন সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সকল সদস্য ও শুভাকাঙ্খিদের চাঁদার মাধ্যমেই এই সংগঠন পরিচালিত হয়। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কবির আহামেদ বলেন, সমাজসেবা অধিদফতর থেকে শুধুমাত্র একবার অনুধান দেওয়া হয়েছে। সেই অর্থ আমি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপস্থিত থেকে বিতরণ করেছি। অন্য অনুদানের বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন