ধর্ষণ মামলায় ‘ছাত্র অধিকার’র প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্ট।এর ফলে মামুনের মুক্তিলাভে আইনগত কোনো বাঁধা নেই।এ তথ্য জানিয়েছেন তার আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।মামুনের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল।
আদেশের বিষয়ে এই আইনজীবী জানান,ছাত্র অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে তার সাবেক এক নারী সহকর্মী মামলা দায়ের করেন।এ মামলায় তিনি ২০২১ সালের ২ নভেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।আদালত আবেদন খারিজ করে হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।পরে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ জামিন দেন।সরকারপক্ষ আদেশ স্থগিতের আবেদন জানালে গত ১ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার জাস্টিস ৬ মাসের জন্য জামিন স্থগিত করেন।সরকারপক্ষ হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে বিচারপতি মো:নূরুজ্জামানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগীয় বেঞ্চে শুনানি হয়।শুনানি শেষে আদালত সরকারপক্ষের আপিল খারিজ করে দেন।হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।এ আদেশের ফলে হাসান আল মামুনের কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাঁধা রইলো না।
প্রসঙ্গত: ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ঢাকার লালবাগ থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নূরুল হক নুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।এজাহারে হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তা ও মেসেঞ্জার গ্রুপে কুৎসা রটানোর অভিযোগ আনা হয়।ওই নারী এজাহারে দাবি করেন, ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি মামুন ওই নারীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেন।তদন্ত শেষে এ মামলায় ২০২১ সালের ১৬ জুন হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ।তবে অব্যাহতি দেয়া হয় নাজমুল হাসান সোহাগ,সাইফুল ইসলাম,নাজমুল হুদা এবং আব্দুল্লাহ হিল বাকীকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন