শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাচ্ছে জিঞ্জিরা এলাকার শিল্প

সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৩ এএম

সিলেট শহরকে পরিকল্পিত শহর করতে ‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০২২ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া মেহেরপুর ও নওগাঁয় একটি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে দুটি আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। হালকা প্রকৌশল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২২এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ নীতিমালার অধীনে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে জিঞ্জিরা এলাকার শিল্পগুলো।

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সিডিএ বা কেডিএ অনুসরণে এটা সিলেটের উন্নয়নের জন্য সিডিএ করা হয়েছে যাতে সিলেট সিটি করর্পোরেশন এলাকা বা পারিপার্শ্বিক এলাকার উন্নয়ন করা যায়। বর্তমান সিলেট শহর ও আশপাশে বেশকিছু বিল্ডিং বা স্থাপনা অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ হচ্ছে। যার ফলে শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং এটার যাতায়াত বা কনজেশনটা আনপ্লাগড হয়ে যাচ্ছে। সেজন্য সিলেট শহরকে পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মেহেরপুর ও নওগাঁয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে দুটি আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তিনি বলেন মেহেরপুরে মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং নওগাঁয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভা আইন দুটির খসড়া ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, হালকা প্রকৌশল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২২’ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ নীতিমালার অধীনে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে জিঞ্জিরা এলাকার শিল্পগুলো। এটা মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। আমাদের দেশে যে হাল্কা প্রকৌশল হবে (লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং) এটার একটা নীতিমালা নিয়ে আসা হয়েছে। এটার জন্য স্থানীয় শিল্পের প্রসার হবে এবং শিল্প খাতের ভূমিকা আরও বাড়বে। আমাদের অর্থনীতির উন্নয়ন আরও বাড়বে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা যে উন্নত দেশ হতে যাচ্ছি, সেক্ষেত্রে এটি বড় ভূমিকা রাখবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা একটা মৌলিক খাত হিসেবে আমাদের দেশে বিবেচিত হবে। যেমন জিঞ্জিরা এলাকায় যে শিল্পগুলো, এগুলোকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হবে। যারা অথেনটিক প্রডিউসার তারা অনেক রকমের ব্যাকআপ পাবেন। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে বিশেষ সুবিধা আছে, যেটা ২ পার্সেন্ট রেট অব ইন্টারেস্ট। এ খাতগুলোতে নীতিমালা অনুসরণ করে বিনিয়োগ করলে সুবিধাগুলো পাবে। তিনি বলেন, ৫০০ কোটি টাকার একটা ফান্ড আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের, সে ব্যাংক থেকেও তারা ২ পার্সেন্ট রেট অব ইন্টারেস্টে ঋণ নিতে পারবেন। নারী উদ্যোক্তাদের জন্যও একটা বিশেষ প্রভিশন আছে। ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনো সিকিউরিটি ছাড়া ঋণ নিতে পারবেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এটা হচ্ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংক এটাকে প্রমোট করবে, যাতে নারী উদ্যোক্তারাও এ সেক্টরের অধীনে বেনিফিট পায়। এসব শিল্প খাত যদি রপ্তানিমুখী হয় সেক্ষেত্রে তারা আলাদা প্রণোদনা পাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা মন্ত্রিসভা একটা নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে, যেভাবে আমরা গার্মেন্টস সেক্টরকে ব্যাকআপ করি এসব ক্ষেত্রেও যারা রপ্তানিমুখী হবে তাদের সে সুবিধা দেওয়ার জন্য। এখানে প্রায় ৪০ হাজার হালকা প্রকৌশল শিল্প রয়েছে এবং ছয় লাখ প্রযুক্তিগত দক্ষ এবং উদ্যোক্তা সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে। তাদের জন্য এটি প্রণোদনা টাইপের কাজ হবে। তারা কাজের জন্য উৎসাহী হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন