রাজধানীতে ওষুধের দোকান রাত ১২টা পর্যন্ত আর হাসপাতালের দোকানগুলো ২টার পর বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা নাকচ করেছে সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ওষুধের দোকান নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধ করার কোনো কারণ নেই। দোকানগুলো ২৪ ঘণ্টাই খোলা রাখা যাবে। কোনো ওষুধের দোকান বন্ধ থাকবে না। এটা একটা অতীব প্রয়োজনীয় জিনিস। যেভাবে হাসপাতাল খোলা থাকবে, সেভাবে জরুরী সেবা হিসেবে ওষুধের ব্যবস্থাও থাকবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা হলো জরুরি সেবা। আমরা কোনো হাসপাতালের টাইমিং কমাইনি। আমরা ২৪ ঘণ্টা সেবা বজায় রেখেছি। শুধু অফিসকেন্দ্রিক বা সিভিল সার্জন অফিস, সেখানে সকাল ৮টা থেকে ৩টা করেছি। তাছাড়া সব হাসপাতাল তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সেখানে সময়টা অপরিবর্তিত থাকবে এবং ওষুধের দোকানের বিষয়ে আমরা বন্ধ করার জন্য কোনো নির্দেশনা দিইনি। তারপরও সিটি করপোরেশন যদি এ বিষয়ে কিছু করে থাকে, আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সুরাহা অবশ্যই করব। আমি মনে করি, এটা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকা প্রয়োজন।
ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের নির্দেশের পর তুমুল সমালোচনার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। দেশের হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম-সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের জাহিদ মালেক বলেন, রাত ১২টায় ওষুধের দোকান বন্ধের কোনো নির্দেশ আমরা দিইনি। কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সিটি করপোরেশনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
২২ আগস্ট ওষুধের দোকানসহ একেক ধরনের প্রতিষ্ঠানের জন্য একেক রকম সময়সীমা নির্ধারণ করেছে সিটি করপোরেশন। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ তালিকা কার্যকর হবে। কর্তৃপক্ষের এ ঘোষণার পর পরই সমালোচনা এসেছে বিভিন্ন পক্ষ থেকে। রাত ২টার পর অসুস্থ হওয়া যাবে না- এই জাতীয় ট্রলও করা হচ্ছে ফেসবুকে। তবে মেয়র তাপস তার সিদ্ধান্তে অটল। গত বুধবার তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, রাত ১২টা পর্যন্ত সাধারণ ওষুধের দোকান এবং ২টার পর হাসপাতালসংলগ্ন ওষুধের দোকান খোলা রাখার প্রয়োজন দেখছেন না তিনি। সেদিন তিনি বলেন, অলিগলির ওষুধের দোকানগুলোকে আমরা রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রেখেছি আর হাসপাতালের পাশে অবস্থিত ফার্মেসিগুলোকে রাত ২টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনে করি, এটা যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এতদিন এই শহরে কোনো শৃঙ্খলা ছিল না, তাই আমরা এখন থেকে ঢাকা শহরকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে চাই। পৃথিবীর সব দেশই শৃঙ্খলার মধ্যে চলে, আমাদেরও চলতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন