সরেজমিনে দেখা হলো না আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট
ড. খন্দকার আ ন ম আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.)-এর নাম শুনেনি এমন মানুষ বাংলাদেশে বিরল। সপ্তম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় ওনার সাথে আধ্যাত্মিক পরিচয়। সামনাসামনি পরিচয় ১৯৯৯ সালে, দারুসসালাম বসে। ফুরফুরার মরহুম পীর সাহেবের জামাতা এবং বিশ্ববিখ্যাত একজন আলেম হওয়ায় অন্তরের গভীরে একটি শ্রদ্ধার আসন অতি সংগোপনে কখন যে বসে যায়Ñ টেরও পাইনি। সদাহাস্য, উদারচেতা, সাহসী, সুন্নতে নববীর মজবুত ধারক বাহক হিসাবে ওনাকে শ্রদ্ধা করেননি এমন মানুষ মেলা কঠিন। যদিও কেউ কেউ তাদের স্বভাবপ্রসূত অন্ধবিদ্বেষ, অজ্ঞতা, কুপম-ুকতা এবং নানাবিধ বৈষয়িক স্বার্থ ও মনবৈকল্য ঘটিত কারণে তাঁকে বিভিন্নভাবে হিংসা, অপমান ও হেয় করার চেষ্টা করেছেÑ যদিও তা হালে পানি পায়নি। এবং একই সাথে আমি বিশ্বাস করি এসব কারণে সে সমস্ত মুফতিয়ানে কেরাম ও তাদের ধামাধরেরা ইহকাল ও পরকালে আল্লাহর রোষানলেই পতিত হবেন।
ফুরফুরার প্রতিটি মাহফিলে, বিভিন্ন সভা-সমাবেশে, বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তাঁর আলোচনা শুনে এবং তদপ্রণীত বিভিন্ন কিতাবাদি পড়ে তাঁর প্রতি যে আগ্রহ, আকর্ষণ ও শ্রদ্ধা জন্মেছিল, দারুসসালাম সিদ্দিকিয়া মাদরাসায় দাওরায়ে হাদিস পড়াকালে তা সহস্রগুণে বেড়ে যায়। একাধিকবার তাঁর সাথে বিশেষ বক্তা হিসাবে মাহফিল করার সুযোগ হয়েছে।
দক্ষিণ বঙ্গের প্রখ্যাত মোহাদ্দিস আমাদের প্রাণপ্রিয় ওস্তাদ হযরত মাওলানা মোহাম্মদ তৈয়্যেবুর রহমান (কাঠালিয়ার হুজুর) তাঁর একজন বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রখর সমালোচক একথা জানার পরে হুজুর কয়েকবার আমাকে দায়িত্ব দেন তাঁর ওখানে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার। এবং একইসাথে আমাকেও উপর্যুপরি কয়েকবার আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট সরেজমিন ঘুরে দেখার আহ্বান করেন। এবং সবসময়ই বলতেন আপনি ওখানে গেলে আপনার মন ভরে যাবে। আপনি আপনার ওস্তাদকে নিয়ে যখনই আমাদের ওখানে আসবেন আপনাদের আতিথেয়তা এবং যাতায়াতের সমস্ত দায়িত্ব আমার।
হুজুরকে কয়েকবার আশ্বাস ও ওয়াদা দিয়েও হুজুরের জীবদ্দশায় সেখানে যাওয়া হলো না বিধায় অন্তরে দুঃখ রয়েই গেল। এ দুঃখ সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে।
-মুফতি মুহাম্মদ আবদুর রব
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
সম্প্রতি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসিক মদীনা সম্পাদক ফখরে মিল্লাত আল্লামা মুহিউদ্দীন খান রহ. ও ইউনিয়ন জমিয়তের সভাপতি মাও. সৈয়দ মুস্তাকিম আলী রহ.-এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মাও. উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন পাশ্চাত্য সভ্যতা ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে দেওবন্দের আলিম উলামারা যে ব্যানারে কাজ করে গেছেন সে ব্যানারের নাম হলো জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনই ভারতের স্বাধীনতা অর্জন করে।
জগন্নাথপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গ্রাম সৈয়দপুর বাজারে অনুষ্ঠিত মাও. সিদ্দিক আহমদ হাসনুর সভাপতিত্বে মাও. রশিদ আহমদ-এর উপস্থাপনায় উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা আব্দুর রব ইফসুফি, মাও. নুরুল ইসলাম খান, এড. শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মাও. তাফাজ্জুল হক আজীজ, মাও. শায়খ আব্দুল বাছির, মাসিক মদীনা সম্পাদক আহমদ বদরুদ্দীন খান, হাফিজ সৈয়দ শামীম আহমদ, ছাত্রনেতা মুফতি নাসির উদ্দিন খান প্রমুখ।
সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্য
শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন করে এ দেশ থেকে ইসলাম নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। দেশের ঈমানদার তওহীদি ছাত্র-জনতা যে কোনো মূল্যে এই ইসলাম বিনাশী, নাস্তিক্যবাদী, হিন্দুত্ববাদী শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন রুখে দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ইনশাআল্লাহ। সম্প্রতি বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে সর্বদলীয় ইসলামী ছাত্র ঐক্যের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন