নদীর পানি ভাগাভাগি নিয়ে ঢাকা-দিল্লি যৌথ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ভারত ও বাংলাদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) ৩৮তম বৈঠকে সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে ভারতের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। -ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
ভারত ও বাংলাদেশ কুশিয়ারা নদীর অন্তর্বর্তী পানি বণ্টনের বিষয়ে সমঝোতা স্মারকের বিভিন্ন বিষয় চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে। দুই পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন ভারতের পানিসম্পদ মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত এবং বাংলাদেশের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বৈঠকে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, বন্যার তথ্য আদান-প্রদান, নদী দূষণ মোকাবেলা, অবক্ষেপণ ব্যবস্থাপনার উপর যৌথ সমীক্ষা পরিচালনা,সুরক্ষা কাজ, নদীর তীরসহ পারস্পরিক স্বার্থের চলমান বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় বলেছে যে, উভয় পক্ষ কুশিয়ারা নদীর অন্তর্বর্তীকালীন পানি ভাগাভাগির বিষয়ে সমঝোতা স্মারকের পাঠ্য চূড়ান্ত করেছে। ত্রিপুরার সাব্রুম শহরের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে ফেনী নদীর পানি গ্রহণের স্থানের নকশা এবং অবস্থানের চূড়ান্তকরণকে স্বাগত জানিয়েছে, যা ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারত-বাংলাদেশ এমওইউতে উল্লেখ করা হয়।
ভারতের জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের মতে, জেআর সভাটি ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এটি ১২ বছরের "দীর্ঘ ব্যবধান" পরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ৫৪টি নদী রয়েছে, যার মধ্যে সাতটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পানি-বন্টন চুক্তির কাঠামো বিকাশের জন্য আগে চিহ্নিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে প্রতিবেশীরা তথ্য বিনিময়ের জন্য আরও আটটি নদী অন্তর্ভুক্ত করতে সম্মত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত জেআরসি বৈঠকে দুই দেশের অভিন্ন নদী, বিশেষ করে গঙ্গা, তিস্তা, মনু, মুহুরি, খোয়াই, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার ও কুশিয়ারা নদীসংক্রান্ত সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া বন্যা সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়, নদী তীর রক্ষার কাজ, কমন অববাহিকা ব্যবস্থাপনা এবং ভারতীয় নদী আন্তঃসংযোগ প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন