বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

এক মুষ্টি মাটি দেয়ার জন্য শুধু ভাইয়ের লাশটা চাই

আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস বাবা ফিরে এলে তার হাত ধরে স্কুলে যাব- নিখোঁজ বংশাল থানা ছাত্রদলের সহসভাপতি সোহেলের মেয়ে সাফা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

যদি আমার ভাইকে মেরে ফেলেন, তাহলে এক মুষ্টি মাটি দেয়ার জন্য লাশটা ফেরত দেন। আর বিচার চাইব না। আর কোনো দাবিও নেই। শুধু ভাইয়ের লাশটা চাই। বিশ্ব গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গতকাল শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধনে এ কথা বলেন গুমের শিকার বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য চৌধুরী আলমের ছোট ভাই খুরশীদ আলম। এ সময় তিনি আরো বলেন, ২০১০ সালের ২৫ জুন ইন্দিরা রোড থেকে আমার বড় ভাইকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকে তার খোঁজ নেই।

গুম ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর তৈরি করা সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর উদ্যোগে শাহবাগে আয়োজিত মানববন্ধনে উপস্থিত হন প্রায় ১০০ পরিবারের সদস্য। এতে সংহতি প্রকাশ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের দাবি, অবিলম্বে যেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।

‘আয়নাঘর’ প্রসঙ্গ টেনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাকেও এইরকম একটা ঘরে রাখা হয়েছিল। দুই ঘণ্টা চোখ বেঁধে আমাকে ঘোরানো হয়। তারপর ওই ঘরে আমাকে তোলা হলো। সেই ঘরে কোনো রকমে একটা চৌকি ফেলা যায়। ওই ঘরের কোনো জানালা নেই। একটা দরজা আছে, সেটি বন্ধ করে দিলে নিশ্বাস নেওয়ার পর্যন্ত জায়গা নেই।

শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধনে মা নিলুফা ইয়াসমিনের হাত ধরে সামনে আসে সাফা। ফুটপাতে একটি চেয়ারে বাবার ছবি হাতে নিয়ে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল সে। কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই সাফা বলে, আমার বন্ধুদের সবার বাবা আছে। বাবার সঙ্গে তারা স্কুলে আসে। আমি কখনোই বাবাকে দেখিনি। বাবা ফিরে এলে তার হাত ধরে স্কুলে যাব।

সাফার মা নিলুফা ইয়াসমিন ইনকিলাবকে বলেন, সাফার বাবা মো. সোহেল যখন নিখোঁজ হন, তখন সাদিকা সরকার সাফার বয়স ছিল মাত্র তিন মাস। সেই সাফার বয়স এখন ৯ বছর। সে ঢাকার একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। দীর্ঘ ৯ বছরে সাফার বাবা সোহেলের খোঁজ মেলেনি।

তিনি বলেন, ও (সাফা) শুধু বাবার ছবি দেখেছে। ও যখন স্কুলে যাওয়া শুরু করল, তখন থেকেই বাবার কথা জিজ্ঞাসা করে। স্কুলে বন্ধুরা যখন বাবার গল্প করে, তখন ওর খুবই মন খারাপ হয়। বাবা কোথায় আমার কাছে জানতে চায়। তখন আমি কোনো উত্তর দিতে পারি না। এই প্রশ্নের উত্তর তো আর আমার জানা নেই। নিখোঁজ সোহেল ছিলেন বংশাল থানা ছাত্রদলের সহসভাপতি। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে শাহবাগ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তাকে তুলে নেয়া হয়। তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি।

নিলুফার বলেন, সোহেলের খোঁজে কত জায়গায় গিয়েছি, তার কোনো হিসাব নেই। আমার বিশ্বাস, সোহেল একদিন ফিরে আসবে।
২০১৯ সালের ১৯ জুন ‘গুম’ হন মিরপুরের কাঠ ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন। সে সময় তার মেয়ে আনিশা ইসলাম সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এখন সে দশম শ্রেণিতে পড়ে। বাবার খোঁজ পাওয়ার দাবি নিয়ে সে গতকাল তার মা নাসরিন জাহানের সঙ্গে শাহবাগের মানববন্ধনে আসে।

মানববন্ধনে আনিশা বলে, তিন বছর ধরে বাবার জন্য কাঁদছি। কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি শুকিয়ে গেছে। আমি হতভাগ্য সন্তান। মোনাজাতে বসে বাবার জন্য কী দোয়া করব, তা নিয়ে আমি দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যাই। আমি একবার দোয়া করি, আল্লাহ, তুমি আমার বাবাকে বেহেশত নসিব কর। আবার দোয়া করি, আল্লাহ, তুমি আমার বাবাকে ফিরিয়ে দাও। আমি জানি না, আমার বাবা জীবিত না কি মৃত। আমি আবার বাবার সন্ধান চাই।

২০১৬ সালে বাড্ডার বাসা থেকে রামপুরা থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন তপুকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়। মোয়াজ্জেমের মা সালেহা বেগম আজকের মানববন্ধনে এসেছিলেন।

মানববন্ধনে সালেহা বলেন, আমার সন্তান কেন গুম হলো, তা সরকারের কাছে জানতে চাই। তার কী দোষ ছিল, কী অন্যায় ছিল, তা জানতে চাই। অন্যায় করলে াঁর বিচার হোক। এখন যে ‘আয়নাঘরের’ কথা শুনতেছি, সেটির তদন্ত করা হোক। আমি এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছি। কখন মারা যাই জানি না। মারা যাওয়ার আগে একটি বার সন্তানের মুখে মা ডাক শুনতে চাই। আমার আর কোনো চাওয়া নেই।

২০১৩ সালের ডিসেম্বরে পাঁচ বন্ধুর সঙ্গে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম। ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তার বোন সানজিদা ইসলাম।

গুমের ঘটনায় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান সানজিদা। তিনি বলেন, এই টিমের কাজ হবে, যাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তাদের খুঁজে বের করা। আয়নাঘরের মতো গোপন সেল থেকে আমাদের ভাইদের বের করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া। পাশাপাশি যারা এ ধরনের জঘন্য কাজের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনা। তদন্তের ভিত্তিতে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা।

মানববন্ধনে মানবাধিকার সংগঠক নূর খান লিটন বলেন, গুমের শিকার হওয়া যারা ফিরে এসেছেন, তারা কোনো কথা বলছেন না। এমন একটা পরিবেশে তারা ছিলেন, যেখান থেকে ফিরে এসে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। তাদের যেখানে রাখা হয়েছে, সেটি আয়নাঘর হোক বা অন্য কোনো সেফ কাস্টডি হোক, সেখান থেকে ফিরে তারা একটি শব্দও বলতে চান না। সরকারের পক্ষ থেকে এখন উদ্যোগ গ্রহণ করে নিখোঁজ ব্যক্তিদের ফিরিয়ে আনতে হবে। আর যেসব গোপন বন্দিশালার তথ্য পাওয়া গেছে, তা চিহ্নিত করতে হবে। এই বন্দিশালাগুলো যারা পরিচালনা করছেন, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য অবিলম্বে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক।

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল বলেন, আমরা বারবারই একটা প্রশ্ন নিয়েই হাজির হচ্ছি, আমাদের পরিবারের সদস্যরা কোথায় আছে? এর উত্তর সরকারকে দিতেই হবে। গুম, খুনের সঙ্গে সরকারি মহলই জড়িত। তবে বেশি দূর নয়। আমরা অবশ্যই ন্যায়বিচার পাব। আগামী দিনে আমরা এসব গুম, খুনের বিচার করব।

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, নগরীর কাজীর দেউরী নুর আহম্মদ সড়কে গতকাল আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান। মানববন্ধনে বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম বাচা চেয়ারম্যানের স্ত্রী সন্তানসহ গুমের শিকার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রধান বক্তার ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার। এছাড়াও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে গতকাল দুপুরে গুম হওয়া সকল নাগরিকদের তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে র‌্যালি ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুুম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন প্রমুখ। জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান শেষে গুম হওয়া নেতাদের ফিরিয়ে পাওয়ার দাবিতে লিফলেট বিতরণ করা হয় বন্দর বাজারে জনগণের মধ্যে।

খুলনা ব্যুরো জানায়, আন্তর্জাতিক গুম বিরোধী দিবসে খুলনায় বিএনপির মাননবন্ধন কর্মসূচি পুলিশের বাঁধায় বিঘ্নিত হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। তবে সকাল ৯টার পর থানার মোড় থেকে শুরু করে বিএনপি অফিস এবং সংলগ্ন রাস্তা ও ফুটপাথের দখল নেয় পুলিশ। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে অবস্থান নিয়ে গোটা এলাকা অবরুদ্ধ করে ফেলে। এ সময় রাস্তা দিয়ে চলাচলরতদের হুইসেল বাজিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়। দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের নাম পরিচয় ও কর্মস্থল সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে পুলিশের বাঁধার পরেও বক্তৃতা শুরু করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম তুহিন। এ সময় কয়েকশ নেতাকর্মী দুই কাতারে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন শুরু করে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী প্রমুখ।

নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, নোয়াখালীতে মানববন্ধন-সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামসহ দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। গতকাল দুুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। জেলা আইনজীবী ফোরামের নেতা রবিউল হাসান পলাশের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি বিইউএম কামরুল ইসলাম।

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। সারাদেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও নির্যাতনের প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. শাহাদাৎ হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাসিমুল হাসান প্রমুখ।

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা জানান, রাজবাড়ীতে বিএনপির উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দুপুরে রাজবাড়ী জেলা বিএনপির কার্যালয় চত্বরে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. লিয়াকত আলী বাবুর সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম পিন্টু, সদস্য সচিব অ্যাড. কামরুল আলম প্রমুখ।

নরসিংদী জেলা সংবাদদাতা জানান, নরসিংদীতে গুম-হত্যা জ্বালানি তেল গ্যাস ও দব্য মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি। মিছিল সহকারে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গতকাল দুপুরে এই বিক্ষোভ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ঢাকসুর সাবেক জিএস বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক ভিপি জলিল, আকবর হোসেন প্রমুখ।

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা জানান, নেত্রকোনায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। গতকাল সকালে ছোট বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে গুমের শিকার ব্যাক্তিদের স্মরণে বিএনপি নেত্রকোনা জেলা শাখা এই মানববন্ধন কর্মসূচীর আয়োজন করে। মানববন্ধন কর্মসূচী চলাকালে গুম খুনের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মাহ্ফুজুল হক প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
jack ali ৩১ আগস্ট, ২০২২, ১:১০ পিএম says : 0
যারা আমরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম স্বাধীনতার পর একি দেখলাম এখন যারা ক্ষমতায় আছে তখন তারা 72 থেকে 75 পর্যন্ত যেভাবে মানুষকে হত্যা করেছে খুন করেছে মানুষের পরে জঘন্য ভাবে অত্যাচার করেছে সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না এবং সেটাই এখন সেই সরকার একই পদ্ধতিতে মানুষকে হত্যা করছে গুম করছে আমাদের দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করছে আর আমাদেরকে দরিদ্র করে রেখেছে আর আমরা সবসময় আগে পাকিস্তানিদের দৌড় দিতাম দিতাম দিতাম এখন কোন পাকিস্তানিরা আমাদের কে হত্যা করছে গুম করছে আমাদের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাঠাচ্ছে চাঁদাবাজি করছে গুন্ডামি করছে মানুষের বাসায় যেয়ে গুন্ডারা আক্রমণ করছে গুন্ডারা মানুষকে ধর্ষণ করছে
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন