তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তাদের মহাসচিব এবং তার দলের শিষ্টাচার শেখার প্রয়োজন রয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত শোকাবহ ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে’ মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বেগম জিয়াকে বিদেশ পাঠানো নিয়ে কিছু কথা বলেছেন, সে প্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল সাহেব শিষ্টাচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমি ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানাই, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকো মৃত্যুবরণ করার পর তার দরজায় গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, ২০ মিনিট পরেও যখন দরজা খোলেননি এটা কোন ধরণের শিষ্টাচার।‘শুধু তাই নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন তাকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেন যে আপনি আসুন আপনার সাথে আমরা আলাপ করি। তখন বিএনপিনেত্রী যে ভাষায় কথা বললেন সেটি কোন ধরণের শিষ্টাচার প্রশ্ন রেখে ড. হাছান বলেন, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী আহত হলেন আর সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া বললেন উনাকে কে মারবেন, গ্রেনেড তো উনারাই নিয়ে গিয়েছেন ভ্যানিটি ব্যাগে করে -এটা কোন ধরণের শিষ্টাচার। শিষ্টাচার আমাদের শেখাবেন না। শিষ্টাচার আপনাদের শেখার প্রয়োজন রয়েছে, আপনার নেত্রীরও শেখার প্রয়োজন রয়েছে। শিষ্টাচার আপনাদের শেখা দরকার, বেগম খালেদা জিয়া, তার মহাসচিব এবং তার দলের শিষ্টাচার শেখার প্রয়োজন রয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন তারা ক্ষমতায় থাকলে সেটা দেখাতো না। গ্রেনেড মেরে হত্যার অপচেষ্টা করার পর মারতে পারে নাই এরপরও যারা উপহাস করে, তারা কি ক্ষমতা থাকলে আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন সেটা দেখাতো!
প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধন নিয়ে সাংবাদিকদের আলোচনার প্রেক্ষিতে এসময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রেস কাউন্সিলের সদস্য সবাই সাংবাদিক এবং প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধন করার প্রস্তাব প্রেস কাউন্সিলেরই। যারা এ নিয়ে কথা বলছেন তারাও এই সংশোধন প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন। সংশোধনীতে শুধু প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বাড়িয়ে জরিমানা করার ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে, এর বাইরে কিছু নয়। ইংল্যান্ডে প্রেস কাউন্সিল কত জরিমানা করবে তার কোনো সীমা বেঁধে দেয়া নেই। যতো অর্থ সমীচীন ততো জরিমানা করতে পারে। আমাদের প্রেস কাউন্সিলকে তার চেয়ে অনেক কম ক্ষমতা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ইংল্যান্ডের মতো তো নয়ই, ভারতের প্রেস কাউন্সিলের মতোও নয়, তার চেয়ে অনেক কম সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা করার ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। এটি নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব হওয়ার সুযোগ নেই, এটি মন্ত্রণালয় করেনি। সংবাদপত্র মালিক পক্ষ, সাংবাদিক, সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধি সবাই মিলেই এটি করবে। এটি নিয়ে যেভাবে অপপ্রচারের চেষ্টা করা হয়েছে সেটি সমীচীন নয়। মন্ত্রী বলেন, ওয়েজবোর্ড নিয়ে মামলা আছে, মামলাটা ভেকেট করা হলে আমি মনে করি ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। আমার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখাকে দায়িত্ব দিয়েছি, আপনারা যোগাযোগ রাখবেন তাহলে এটা দ্রুত হবে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের-ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের-বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন