স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবনদানকারী শহীদ বীর উত্তম খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়ার ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭১ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের এই দিনে সিলেট জেলার কানাইঘাটে পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর সাথে মুখোমুখি যুদ্ধে শহীদ হন বাংলা মায়ের দামাল সন্তান খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া। সিলেট অঞ্চলের ৪ নম্বর সেক্টরের সাব-সেক্টর জালালপুরের যুদ্ধ পরিচালনার জন্য প্রথমে সাব-সেক্টর সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং পরবর্তীতে সাব-সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ পরিচালনা করেন তিনি। রণাঙ্গনে খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া এতই চৌকষ ছিলেন যে, সহযোদ্ধারা তাকে ক্যাপ্টেন নিজাম বলে সম্বোধন করতেন।
১৯৭১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর কানাইঘাটের আটগ্রাম সড়কের বাজারের খুব কাছে তাঁর নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধারা একটি সেতু ধ্বংস করেন। এসময় দখলদার পাকিস্তানী বাহিনীর একটি দল কাছেই অবস্থান করছিলো এবং মুখোমুখি যুদ্ধে পাকিস্তানী বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতিসাধন হলেও বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করতে করতে শহীদ হন বাংলা মায়ের সাহসী সন্তান খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া।
তার সমাধিস্থল রয়েছে সিলেটের মোকামটিলায়। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে পুরো অঞ্চলটির নামকরণ করা হয় নিজামনগর। স্বাধীনতার যুদ্ধে খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়ার সাহসী আত্মত্যাগের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব প্রদান করেন। তিনি হলেন মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ বেসামরিক ব্যক্তিত্ব। আজ তার ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ‘বীর উত্তম খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া স্মৃতি রক্ষা কমিটি’র পক্ষে সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন বীর উত্তম শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়ার ভাই ও মাইলস্টোন কলেজের প্রিন্সিপাল লে. কর্নেল মোস্তফা কামালউদ্দিন ভূঁঁইয়া (অব.)।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন