শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পাকিস্তানের তিন ভাগই পানির নীচে, মৃত্যু ১৩০০ ছাড়াল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৩:০০ পিএম

যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার অভিযান চালানো হলেও আটকানো যাচ্ছে না মৃত্যুমিছিল। তীব্র বন্যার জেরে ইতিমধ্যেই পাকিস্তানে মৃতের সংখ্যা ১৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বা এনডিএমএ। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ জন। বিভিন্ন মহলের দাবি, পাকিস্তানে এখন যা পরিস্থিতি, তাতে বলা চলে যে দেশের তিন ভাগই পানির নীচে। জেগে রয়েছে শুধু এক ভাগ স্থল!

‘মহাবিপর্যয়’— পাকিস্তানের পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে বর্তমানে এই শব্দটিই ব্যবহার করছে সরকারি সংগঠনের পাশাপাশি উদ্ধার অভিযানে হাত লাগানো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি। সব চেয়ে খারাপ অবস্থা দক্ষিণের প্রদেশগুলির। যার মধ্যে রয়েছে বালোচিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং সিন্ধু। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি সিন্ধু প্রদেশে। এখনও পর্যন্ত সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ১৮০ জন। তার পরেই রয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া। বন্যার জেরে সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১৩৮ জনের। তার ঠিক পরেই স্থান বালোচিস্তানের। সেই প্রদেশে মারা গিয়েছেন ১২৫ জন।

বন্যার পানির তোড়ে পুরোপুরি বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ১৪ লক্ষের বেশি বাড়ি। প্রাণ গিয়েছে প্রায় ৭,৩৬,৪৫৯টি গবাদি পশুর। সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। রোববার সেনা কর্মকর্তদের সঙ্গে নিয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন পাক মন্ত্রিসভার পরিকল্পনা বিষয়ক মন্ত্রী আহসান ইকবাল। সেখানে আন্তর্জাতিক স্তরে সাহায্যের প্রার্থনা করেন তিনি। পাশাপাশি দেশবাসীকে এ-ও আশ্বাস দেন যে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

তবে সরকার যতই আশ্বাস দিক না কেন, পাকিস্তানে বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের পরিস্থিতি যে কতটা কঠিন তা বোঝা যায় ত্রাণ শিবিরগুলিতে ঢুঁ মারলেই। ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষের ঠিকানা এখন বালোচিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া, সিন্ধু এবং পঞ্জাব প্রদেশের আনাচে-কানাচে তৈরি হওয়া এই ক্যাম্পগুলিই। সূত্র: রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন