উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল ও তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে তিস্তাপাড়ের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার বিকেলে দোয়ানি পয়েন্টে তিস্তার পানি কমলেও ভাটিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
পাউবো সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেল ৩টায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও শুক্রবার সকালে তা কিছুটা কমে গিয়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়। তিস্তার ভাটি এলাকায় ধীরে ধীরে পানি বেড়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
লালমনিরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
এছাড়া, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি; আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালমাটি, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, চোংগাডারা, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
আদিতমারী উপজেলার গোবর্দ্ধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। আমরা জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানিয়েছেন, পানিবন্দি পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী খুব দ্রুত ত্রাণসামগ্রী দেয়া হবে।
রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার নি¤œাঞ্চলগুলোতে বানের পানি ঢুকে পড়েছে। ইতিমধ্যে গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ, লক্ষিটারী, বিনবিনার চরসহ নি¤œাঞ্চলের আমন ক্ষেতসহ অন্যান্য ফসলী জমিতে বানের পানি ঢুকে পড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন