আষাঢ়ের পূর্নিমার ভরা কোটালে ফুসে ওঠা সাগরের জোয়ারে দক্ষিণাঞ্চলের বেশীরভাগ নদ-নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে। ফলে এ অঞ্চলের বিশাল এলাকা সহ বিপুল আমন বীজতলা প্লাবনের আশংকায় কৃষকদের দুঃশ্চিন্তাও বাড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় হাইড্রোলজি উপ-বিভাগের সর্বশেষ হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলে মেঘনা, তেতুলিয়া, বিষখালি ও কঁচা সহ বেশীরভাগ নদ-নদীর পানি গত তিনদিন ধরে বিপদ সীমার ওপরে বইছে। বরিশালের কির্তনখোলা নদীর পানি বিপদ সীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপরে বইছে। ভোলা খেয়াঘাটে তেতুলিয়ার পানি ৫ সেন্টিমিটার, দৌলতখানে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি ৫৭ সেন্টিমিটার ওপরে এবং তজুমদ্দিনে একই নদীর পানি বিপদ সীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বুড়িশ^র ও পায়রা নদীর পানিও বিপদ সীমার ১৯ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিষশালী নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার এবং একই জেলার পাথরঘাটায় ৬৭ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। পিরোজপুরের বলেশ^র এবং উমেদপুরর কঁচা নদীর পানি যথাক্রমে ২ সেন্টিমিটার ও ৭ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ঝালবকাঠীতে বিষখালী নদী এখনো বিপদ সীমা ৫ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হলেও পানি ক্রমশ বাড়ছে বলে জানা গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোলজি বিভাগের সবগুলো গেজ স্টেশন থেকে নদ-নদী সমুহের প্রবাহ পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষনের কথা বলা হয়েছে। পূর্ণিমার ভরা কাটালে ভর করে সাগর কিছুটা ফুসে ওঠার সাথে দক্ষিনÑপূবের বাতাসে দক্ষিণ উপক’ল সহ অভ্যন্তরভাগে নদ-নদীর পানি বাড়ছে বলে বোর্ডের দায়ত্বিশীল সূত্রে বলা হয়েছে। তবে উত্তর ও পূর্ব উত্তরের বণ্যার পানি নেমে যাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর এ পানি বৃদ্ধি খুব স্থায়ি না হলেও এ অঞ্চলের আমন বীজতলার জন্য ঝুকি বৃদ্ধি করছে। এবার দক্ষিণাঞ্চলে ৭ লক্ষাধিক হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষে ইতোমধ্যে মাঠে মাঠে বীজতলা তৈরী প্রায় শেষ হলেও আষাঢ়ের পূর্ণিমার এ প্লাবন যথেষ্ঠ ঝুকি বৃদ্ধি করছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে দিন তিনেক বাদেই সাগর শান্ত হলে দক্ষিণ উপক’ল অভ্যন্তরের পানি গ্রহন শুরু করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে বলেও জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন