লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় হঠাৎ অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে মানুষের কষ্ট বেড়ে গেছে। দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি চরাঞ্চলের বিপুল পরিমাণ ফসলের মাঠ, ঘরবাড়ি ও মাছের ঘের ডুবে গেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রবল স্রোতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পাঁচটি বাজার সহ উপজেলার চরশামছুদ্দীন, নাজিরগঞ্জ,মতিরহাট,চরজগবন্ধু,লুধুয়া,
পাঠারিরহাট,চরফলকন ও রামগতি উপজেলার বালুচর চরআলগী,সেবাগ্রাম,জনতা বাজার,বড়খেরী, চরগাজী,চরআব্দুল্লার চর গজারিয়া সহ ১৫ টি গ্রামের কয়েকহাজার হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দ হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ উপকূলের বিস্তীর্ণ জনপদ। গত দুই দিন ধরে অস্বাভাবিকভাবে জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ওইসব অঞ্চলের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন।
রামগতির উপজেলার বিচ্ছিন্ন চর,আবদুল্লাহ ইউনিয়ন তেলির চর,উত্তর চরআবদুল্লাহ, চরগাসিয়া ও চর মোজ্জাম্মেল এলাকার কিছু অংশ পানিতে ডুবে গেছে। জোয়ারের পানিতে রাস্তাঘাট ও বাড়ির উঠান ডুবে বসতঘরে পানি উঠে পড়ে। পানিবন্দি হয়ে কয়েক হাজার মানুষ কষ্ট পোহাচ্ছে।
চরআব্দুল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন মঞ্জু জানান, তেলিরচর বাজার, কামাল বাজার ও চেয়ারম্যান বাজার সহ তার ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
চরমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিয়া ও চরকালকিনি ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার সাইফুল্লাহ জানান, চরমার্টিন ও চরকালকিনি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় জোয়ারের পানি উঠে গেছে। দুর্ভোগে রয়েছেন চলাচলকারীরা।
পাটারীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল আমিন রাজু বলেন,তার ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় জোয়ারের পানি উঠে গেছে।
রামগতি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শান্তনু চৌধুরী বলেন,মেঘনা উপকূলীয় এ অঞ্চলে জোয়ার এলেই প্রচুর পানি প্রবেশ করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন