আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে নৌকা ও ধানের শীষে ভোটের লড়াই শুরু হচ্ছে সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) থেকে।
এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার। এবারই প্রথমবারের মতো দেশে দলীয়ভাবে সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রিটার্নিং অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, বর্তমানে নাসিক নির্বাচনে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে নৌকা, বিএনপি দলীয় প্রার্থী জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে ধানের শীষ, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী মাহবুবুর রহমান ইসমাইলকে কোদাল, এলডিপির কামাল প্রধানকে ছাতা, কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌসকে হাতঘড়ি, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাসুম বিল্লাহকে হাত পাখা ও ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি এজহারুল হককে মিনার প্রতীক দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, রোববার (০৪ ডিসেম্বর) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে জাসদ সমর্থিত প্রার্থী মোসলেম উদ্দিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
আইভী প্রতীক পাওয়ার পর বলেন, এখন থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু। সবাই নৌকার পক্ষে কাজ করবেন, কারণ আইভী নৌকার বাইরে না। আমাদের এবারের স্লোগান হচ্ছে, নয় শংকা নয় ভয়, শহর হবে শান্তিময়। এই স্লোগানককে সামনে রেখে এবার আমরা কাজ করবো।
প্রতীক পাওয়ার পর সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, নারায়ণগঞ্জ এখন ভোটের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের মনোভাব যদি মানুষকে ভোট দিতে দেওয়ার পক্ষে থাকে তবে আমাদের পক্ষে জয় পাওয়া সম্ভব হবে। আমি নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা রাখতে চাই। দেখতে চাই, তাদের মনোভাবের পরিবর্তন হয়নি। নৌকার প্রার্থী আচরণবিধি না মানলেও আমরা মেনে চলেছি। মানুষকে ভোট দিতে দেওয়ার অনুরোধ করবো।
নির্বাচনে মেয়র পদ ছাড়াও ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে মোট চার লাখ ৭৯ হাজার ৩শ ৯২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৪১ হাজার ৫শ ১৪ জন এবং নারী ভোটার দুই লাখ ৩৭ হাজার ৮শ ৭৮ জন।
ভোটগ্রহণ করা হবে ১শ ৬৩টি কেন্দ্র ও এক হাজার ২শ ১৭টি ভোটকক্ষে। নির্বাচনে মোট ১শ ৬৩ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, এক হাজার ২শ ১৭ সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও দুই হাজার ৪শ ৩৪ জন পোলিং কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন