বাজার যাচাই করে ডলারের একক বা অভিন্ন দর নির্ধারণে আগামী রোববার পুনরায় বৈঠক করবে অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)। এরপর তারা বাংলাদেশ ব্যাংককে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। ডলারের বাজার পর্যবেক্ষণ ও আমদানি রফতানি পরিস্থিতি বুঝতে সময় চেয়েছে ব্যাংক নির্বাহী ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর এই দুই সংগঠন।
কয়েক মাস ধরেই ডলারের বাজারে অস্থিরতা চলছে। ডলারের দাম স্থিতিশীল রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। এমন অবস্থায় ডলারের বাজারে করণীয় নির্ধারণে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবিবি ও বাফেদা নেতাদের নিয়ে এই যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল। বৈঠকের শেষ দিকে যোগ দেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
বৈঠক শেষে বাফেদা চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, বৈঠকে ডলার বাজারের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দেখা গেছে, লেনদেনে ভারসাম্য অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। অর্থাৎ আমদানি-রফতানির ব্যবধান কমে আসতে শুরু করেছে। এবিবি ও বাফেদা ডলার বাজার পর্যবেক্ষণ করে এক-দুদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাবে। ডলারের বাজার দর দেখেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এবিবি চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্যে লেনদেন ঘাটতি কমে আসায় আগামী দুই মাসের মধ্যে ডলারের দাম স্থিতিশীল হয়ে আসবে। আমরা বাজার পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছি। বাজার যাচাই করে ডলারের একক দাম নিধার্রণ করতে রোববার আবারও বৈঠকে বসবে এবিবি ও বাফেদা।
এর আগে ১৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, আন্তঃব্যাংক লেনদেন বাজার সচল করতে ডলারের অভিন্ন দর প্রস্তাব করবে বাফেদা। তিন সপ্তাহ পার হলেও সেই প্রস্তাব জমা দেয়নি সংগঠনটি।
ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, ব্যাংকগুলো যে দরে বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে ডলার সংগ্রহ করবে তার গড় দরের সঙ্গে সর্বোচ্চ ১ টাকা বেশি দরে বিক্রি করতে পারবে। আর সেই দরের সঙ্গে সর্বোচ্চ দেড় টাকা যোগ করে খোলা বাজারে ডলার বিক্রি করবে মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন