মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

যত সম্পদের মালিক ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:৩৬ পিএম

৭০ বছর রাজত্ব করার পর ব্রিটেনের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী রাজশাসক রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্যালমোরাল প্রাসাদে প্রিয়জনদের সান্নিধ্যে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্ম ২১ এপ্রিল ১৯২৬ সালে। ব্রিটেনের হাজার বছরের ইতিহাসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ হলেন দ্বিতীয় ব্যক্তি। ১৯৫৩ সালের ২ জুন অভিষেক হয় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। গ্রেট ব্রিটেন এবং উত্তর আয়ার্ল্যান্ডের রাজদণ্ড হাতে তুলে নেন তিনি।
রানি এলিজাবেথের সম্পত্তি নিয়ে নানা কথা প্রচলিত থাকলেও বিখ্যাত ফরচুন ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী রানির ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ ৫০০ মিলিয়ন ডলার।
৭০ বছরের বেশি সময় সিংহাসনে আসীন ছিলেন তিনি। ওই সময়েই এই পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন তিনি। এ ছাড়া ব্রিটিশ রাজপরিবারের ২৮ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা রয়েছে, যাকে রয়্যাল ফার্ম বলা হয়। রাজা ষষ্ঠ জর্জ ও প্রিন্স ফিলিপ এটিকে পারিবারিক ব্যবসাও বলে থাকেন।
মায়ের মৃত্যুর পর ছেলে প্রিন্স চার্লস রাজার আসনে বসার পরপরই বিপুল এ সম্পত্তির মালিক বনে যাবেন।
সবমিলিয়ে রানির ব্যক্তিগত সম্পত্তির আনুমানিক মূল্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার। বিনিয়োগ, শিল্প সংগ্রহ, গয়না ও রিয়েল এস্টেট থেকে এ বিপুল পরিমাণ টাকা আয় করেছেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। মায়ের কাছ থেকে ৭০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পারিবারিক সম্পত্তিও পেয়েছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে দামি পেইন্টিং, গয়না, স্ট্যাম্প সংগ্রহ, ঘোড়া ইত্যাদি
রানির আয়ের অন্যতম উৎস ছিল করদাতাদের তহবিল থেকে সার্বভৌম অনুদান। প্রতিবছর এ খাত থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পেতেন রানি এলিজাবেথ। ব্রিটিশ সরকার রাজপরিবারকে এ অর্থ দেয়।
রাজা তৃতীয় জর্জ ও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের মধ্যে এক চুক্তি অনুযায়ী রাজা জর্জ সব সম্পত্তি পার্লামেন্টকে দিয়ে দেন। এর বদলে রাজপরিবারকে ব্রিটিশ সরকার প্রতিবছর থোক একটা অর্থ দেয়। একে আগে ‘নাগরিক তালিকা’ বলা হতো। ২০১২ সাল থেকে এ অর্থকে ‘সার্বভৌম অনুদান’ বলা হচ্ছে।
ব্রিটেনের রয়্যাল ফার্ম মনার্ক পিএলসি নামেও পরিচিত। এর আনুমানিক সম্পদমূল্য ২৮ বিলিয়ন ডলার। এ ব্যবসায়িক ফার্মে রানি এলিজাবেথের নেতৃত্বে রাজপরিবারের সদস্যরা রয়েছেন।
অনেক ইভেন্ট ও পর্যটনের মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে মিলিয়ন পাউন্ড জোগান দেয়। ফার্মের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন চার্লস ও তার স্ত্রী ক্যামিলা, প্রিন্স উইলিয়াম ও তাঁর স্ত্রী কেট মিডলটন, প্রিন্সেস অ্যান, প্রিন্স অ্যাডওয়ার্ড ও তার স্ত্রী সোফি।
রানির আয়ের অন্য এক বিরাট উৎস দ্য ড্যাচি অব ল্যাংকেস্টার। এটি মূলত ব্রিটেন রাজপরিবারের বাণিজ্যিক, কৃষিজাত ও আবাসিক সম্পত্তি। তবে এটি সরকারি সম্পত্তি নয়, বরং উত্তরাধিকার হিসেবে পাওয়া পারিবারিক সম্পত্তি। রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর বড় মেয়ে হিসেবে এ সম্পত্তি বুঝে পান রানি এলিজাবেথ। তার মৃত্যুর পর এখন এ সম্পত্তির মালিক হবেন প্রিন্স চার্লস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন