সাভার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাবশিরা ইসলাম লিজার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অফিস চলাকালীন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া স্থানীয় এমপি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর বাসায় সাক্ষাতের জন্য যাওয়া এবং যথাসময়ে অফিসে না আসার কারণে এ মামলা করা হবে। এছাড়া রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগয়ি মামলা করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা তদন্ত ও শৃঙ্খলা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ফজলুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত ও শৃঙ্খলা শাখা।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী সাভার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাবশিরা ইসলাম লিজা অফিস চলাকালীন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর বাসায় সাক্ষাতের জন্য গেছেন, যা অপেশাদারসুলভ আচরণ। তিনি সরকারি কর্মচারী হয়ে অফিসে দেরিতে আসেন। এছাড়া অফিস সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কর্মস্থলে আসেন না। তার এসব আচরণের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা রুজুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (তদন্ত ও শৃঙ্খলা) ফজলুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, সাভার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার জন্য প্রতিবেদনের আলোকে খসড়া অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী পাঠানোর নির্দেশনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঢাকা জেলার অনেক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। আবার মোহাম্মদপুর থানা শিক্ষা কর্মকর্তারা বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা তদন্ত কমছেন মন্ত্রণালয়ের এক উপসচিব।
অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা তাবশিরা ইসলাম লিজা বলেন, আমি এখনো এমন কোনো নোটিশ পাইনি। এছাড়া মৌখিকভাবেও এ বিষয়ে তাকে ঊর্ধ্বতন কেউ কিছু জানায়নি। বিষয়গুলো আমি ফেস করব। এ বিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিষয়ে বিভাগীয় মামলার সিদ্ধান্তের বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। তবে ওই শিক্ষা কর্মকর্তা মাঝে মধ্যেই অফিসে অনুপস্থিত থাকেন। তিনি দুদিন ওই শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস পরিদর্শনে গিয়েও তাকে পাননি। এজন্য তাকে সতর্কও করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন