শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হবে

দিতে হবে আবেদন লাগাম টানতে হবে খেলাপি ঋণের : আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরো বাড়ানো হবে। তবে এ জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করতে হবে। এ কথা জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
গতকাল শনিবার ঢাকার জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (জেএটিআই) জেলা ও দায়রা জজদের রিফ্রেশনার ট্রেনিং কোর্সের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, পরিবার আবেদন করলে বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিতের দেতয়া আরও বাড়াবে সরকার। তারা (খালেদা জিয়ার পরিবার) তার কারাদণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়াতে চায় কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দিন। আমি বলতে পারি, যদি তার পরিবার এই মর্মে আবেদন করে, তাহলে সরকার অবশ্যই তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়াবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, সরকার সারা দেশে অর্থঋণ আদালতে ঋণখেলাপি সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তিতে গতি আনতে ব্যবস্থা নিয়েছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আবারও কথা হবে।
প্রসঙ্গত : চলতি বছর ১৬ মার্চ বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানোর পক্ষে মত দেয় আইন মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী তার কারাদণ্ড স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন দেয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার তার কারাদণ্ড ৬ মাসের জন্য স্থগিত করার পর কারাগার থেকে মুক্তি পান খালেদা। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ আদালতে ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা। পরের বছর ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট এই মামলায় তার আপিল খারিজ করে শাস্তি বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার আরেকটি বিশেষ আদালত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে। তাকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
এর আগে আনিসুল হক তার বক্তৃতায় বলেন, বিগত সাড়ে ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ঈর্ষণীয় উন্নতি হয়েছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সরকার সমৃদ্ধ অর্থনীতির শত্রু হিসেবে খ্যাতখেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে চায়। কারণ ঋণখেলাপি মামলা জট দেশের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে আমাদের অবশ্যই ঋণখেলাপি মামলাজট খুলতে হবে। মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে খেলাপি ঋণ বাড়ার লাগাম টানতে হবে।
আনিসুল হক বলেন, ঋণখেলাপি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সরকার অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ সংশোধন করে আদালতের বাইরে এডিআর বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মামলার পক্ষদের অনাগ্রহের কারণে এডিআর পদ্ধতির সফল প্রয়োগ হচ্ছে না। ঋণখেলাপি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে এডিআর পদ্ধতিকে আরও কার্যকরভাবে অনুসরণ করতে হবে। এর পাশাপাশি শুনানি পর্যায়ে বিবাদীর অযৌক্তিক কালক্ষেপণ রোধ করতে হবে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন মন্ত্রণালয় এবং বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন