নির্বাচন মানেই সারাদেশে ভোটের উত্তাপ। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা, লবিং গ্রুপিং। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে সে ‘নির্বাচনী উত্তাপ’ ছড়িয়ে পড়ে। হাটে-মাঠে-ঘাটে চায়ের চুমুকে ঝড় ওঠে। জাতীয় সংসদ, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা সব নির্বাচনেই একই চিত্র। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন মানুষ ভোট দিতে না পারায় কয়েক বছর ধরে ভোটাররা নির্বাচন বিমুখ। তবে বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জন বা নির্বাচন বিমুখ হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও দলটির শরীক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনী উত্তাপ সমানতালে চলে। কিন্তু এবার জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের শরীক দলগুলোতে নেই কোনো আগ্রহ। এমনকি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেও জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে নেই কোনো উত্তাপ। এ যেন ঢেউবিহীন নির্বাচন। অথচ কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এ নির্বাচনে যারা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব খাটাবেন।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমান কাজী হাবিবুল আউয়ালের অধীনে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনের আয়োজন মানেই সরকারের পিকনিক। দেশে গণতন্ত্র না থাকার কারণে সরকার একদলীয়ভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচন নামে পিকনিকের আয়োজন করছে। সরকারের এসব আয়োজনের বাস্তবায়ন করছে নির্বাচন কমিশন। দেশে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া এবং ভোটের অধিকার না থাকায় নির্বাচনের নামে এসব সার্কাস চলতেই থাকবে। সরকার আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের ক্ষমতা কাজে লাগানোর লক্ষ্যে গাড়ি-বাড়ি দিয়ে খুশি করবে।
একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠার অর্ধেক পাতা জুড়ে বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে একজনের পক্ষে ওই জেলার উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভার কতজন জনপ্রতিনিধি বিজ্ঞাপনের ছবিসম্বলিত নেতাকে ভোট দেবেন তার বিবরণ দেয়া হয়েছে। গতকাল শনির আখড়া থেকে গুলিস্তান রুটের শ্রাবণ পরিবহণের বাসের এক যাত্রী বিজ্ঞাপন দেখে সঙ্গী যাত্রীর দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালেন। যার দিকে তাকালেন তিনিও জানেন না এটা কিসের ভোটের বিজ্ঞাপন। পাশের সিটে বসা একজন বললেন, ‘এটা জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট। এই ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনসেবা করবেন। তবে এতে ভোট আপনি-আমি দিতে পারবো না। পাকিস্তান আমলে ১৯৫৯ সালের ২৬ অক্টোবর আইয়ুব খান যে ব্যাসিক ডেমোক্রেসি (মৌলিক গণতন্ত্র) ভোট চালু করেছিলেন, স্বাধীন দেশে সে রকম এই ভোট। প্রতিটি জেলার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচিত করবেন’। শুনে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা বাসযাত্রী মাথা নাড়ালেন, বুঝেছি! ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বিতর্কিত নির্বাচনের পর থেকে জনগণ ভোটকেন্দ্রে যেতে চায় না সে জন্যই সরকার এ ব্যবস্থা করেছে? অন্যজন ভুল ভেঙে দিয়ে বললেন, ‘না সেটা নয়, আইন করেই এভাবে জেলা পরিষদ নির্বাচন ব্যবস্থা করা হয়েছে’। শুধু রাজধানীতে চলাচল করা ওই বাসের যাত্রীই নয়, দেশের বেশির ভাগ মানুষ জানেন না জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সারাদেশে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাধারণ মানুষ দূরের কথা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীই এ ভোট নিয়ে আগ্রহ নেই। কারণ তারা আগেই কেন্দ্রের বার্তা পেয়েছেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ প্রার্থী হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। সে কারণে তারা ধরে নিয়েছেন কেন্দ্র যাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিবেন তিনিই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। ফলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে তেমন উচ্চবাচ্য ও আগ্রহ নেই। তবে কয়েকটি জেলার চিত্রে দেখা যায়, কেউ কেউ দলীয় মনোনয়নের জন্য পোস্টার করে দেওয়ালে সাঁটিয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন ক্রয় ও জমা দেয়ার সময় নেতাকর্মী বেষ্টিত হয়ে দলের সভানেত্রীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে শো-ডাউন করেছেন। দেশের উত্তরাঞ্চলের একাধিক ইউনিয়ন পরিষদের ভোটারের (চেয়ারম্যান ও মেম্বার) সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের কেউ ভোটের খবর পেয়েছেন, কেউ শোনেননি।
সাংবিধানিক শাসন ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদের পরই জেলা পরিষদের অবস্থান। তারপর উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনের অবস্থান। সেই জেলা পরিষদ নির্বাচন হয়ে থাকে মৌলিক গণতন্ত্র বা জনপ্রতিনিধিদের ভোটে। যে প্রক্রিয়ায় ভোট হোক সেখানে একাধিক প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার কথা। কিন্তু দেশের মানুষ দূরের কথা অনেক স্থানীয় জনপ্রতিনিধিই খবর রাখেননি এ নির্বাচনের!
আইন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে যতগুলো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর সদস্যরাই জেলা পরিষদ সদস্যদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। অর্থাৎ সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলররা (সদস্য) ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য নির্বাচিত করবেন। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৩ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ৬১টি জেলা পরিষদের নির্বাচনের এ তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী-মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। আর ভোটগ্রহণ ১৭ অক্টোবর।
জেলা পরিষদ স্থানীয় শাসন ব্যবস্থার খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্তর। তিন পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১ জেলায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কয়েকটি উপজেলা নিয়ে ‘জেলা পরিষদ’ গঠিত। এছাড়াও অনেক জেলায় সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা রয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে উপজেলা, ইউনিয়র পরিষদ, পৌরসভা নির্বাচনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে থাকেন। অথচ এ নির্বাচন হচ্ছে নীরবেই। অন্যান্য রাজনৈতিক দল দূরের কথা দল না চাইলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারাও এতে প্রার্থী হতে পারছেন না। আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মনোনয়ন বোর্ড যাদের নাম দেবেন তারাই কার্যত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবে। অর্থাৎ নির্বাচনের আগেই ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থীরা অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত বিবেচিত হবেন। আর তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচন নামের ভোটের আয়োজন করবেন।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দেশের ৬১ জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচিতরা ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি শপথ নেন। ওই বছরের জানুয়ারিতেই জেলা পরিষদগুলোর প্রথম বৈঠক হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে জেলা পরিষদের ৫ বছর মেয়াদ শেষ হয়। জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী, পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। কিন্তু আইনি জটিলতায় তা না হওয়ায় গত ১৭ এপ্রিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ তানভীর আজম ছিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের মেয়াদ ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় নির্বাচিত পরিষদগুলো বিলুপ্ত করা হয়। এতে আরো জানানো হয়, জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হলো। কিন্তু পরের দিনই বিলুপ্ত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এমন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রাজধানীর ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে বিভিন্ন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। জেলা পরিষদে চেয়ারমান পদে প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে ৫শ’ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। মনোনয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সভায় সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ৬১ জেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডের সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আমির হোসেন আমু, শেখ সেলিম, কাজী জাফরুল্লাহ, কর্নেল ফারুক খান, ড. আব্দুল রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ।
মনোনয়ন পেলেন যারা :
ঢাকা বিভাগ : টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ফারুক, কিশোরগঞ্জে জিল্লুর রহমান, মানিকগঞ্জে গোলাম মহীউদ্দীন, মুন্সীগঞ্জে মহিউদ্দিন, ঢাকায় মাহবুবুর রহমান, গাজীপুরে মোতাহার হোসেন, নরসিংদীতে আবদুল মতিন ভুঞা, নারায়ণগঞ্জে চন্দন শীল, রাজবাড়ীতে এ, কে, এম, শফিকুল মোরশেদ, ফরিদপুরে মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, গোপালগঞ্জে মুন্সী মো. আতিয়ার রহমান, মাদারীপুরে মুনির চৌধুরী, শরীয়তপুরে ছাবেদুর রহমান।
রংপুর বিভাগ : পঞ্চগড়ে আবু তোয়বুর রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কুরাইশী, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নীলফামারীতে মো. মমতাজুল হক, লালমনিরহাটে মতিয়ার রহমান, রংপুরে ইলিয়াস আহমেদ, কুড়িগ্রামে জাফর আলী, গাইবান্ধায় আবু বকর সিদ্দিক।
রাজশাহী বিভাগ : জয়পুরহাটে খাজা সামছুল আলম, বগুড়ায় মকবুল হোসেন, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে রুহুল আমিন, রাজশাহীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, নাটোরে সাজেদুর রহমান খান, সিরাজগঞ্জে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, পাবনায় আ.স.ম. আব্দুর রহিম পাকন।
খুলনা বিভাগ : মেহেরেপুর মো. আব্দুস সালাম, কুষ্টিয়ায় মো. সদরউদ্দিন খান, চুয়াডাঙ্গায় মাহফুজুর রহমান (মনজু), যশোরে সাইফুজ্জামান পিকুল, মাগুরায় পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, নড়াইলে সুবাস চন্দ্র বোস, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, খুলনায় শেখ হারুনুর রশীদ, সাতক্ষীরা...(নাম ঘোষণা হয়নি), ঝিনাইদহে কনক কান্তি দাস।
বরিশাল বিভাগ : বরগুনায় মো. জাহাঙ্গীর কবির, পটুয়াখালীতে খলিলুর রহমান, ভোলায় আব্দুল মুমিন টুলু, বরিশালে এ কে এম জাহাঙ্গীর, ঝালকাঠিতে খান সাইফুল্লাহ পনির, পিরোজপুরে সালমা রহমান।
ময়মনসিংহ বিভাগ : জামালপুরে বাকি বিল্লাহ, শেরপুরে চন্দন কুমার পাল, ময়মনসিংহে ইউসুফ খান পাঠান, নেত্রকোণায় অসিত কুমার সরকার।
সিলেট বিভাগ : সুনামগঞ্জে খায়রুল কবির রুমেন, সিলেটে নাসিরউদ্দিন খান, মৌলভীবাজারে মিছবাহুর রহমান, হবিগঞ্জে ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী। এবং
চট্টগ্রাম বিভাগ : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল মামুন সরকার, কুমিল্লায় মফিজুর রহমান বাবলু, চাঁদপুরে ইউসুফ গাজী, ফেনীতে খায়রুল বশর মজুমদার, নোয়াখালীতে আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, লক্ষ্মীপুরে শাহজাহান, চট্টগ্রামে এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, কক্সবাজারে মোস্তাক আহমদ চৌধুরী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন