শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস আজ। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২০০৭ সালে সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে গণতন্ত্র সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি এবং গণতন্ত্র চর্চাকে উৎসাহিত করার জন্য প্রচলিত একটি বিশেষ দিন পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এর পর থেকেই প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালিত হয়ে আসছে।
প্রতি বছর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালনের পিছনে মূল উদ্দেশ্য হল যে কোনো সরকারের ভূমিকা তুলে ধরা। দেশ নিশ্চিত করতে ভূমিকা পালন করে যে গণতন্ত্র রয়েছে এবং সমাজ নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ এবং সমানভাবে কাজ করে চলেছে।

গণতন্ত্র হল এমন একটি ধারণা যা আমাদেরকে একটি মুক্ত, ন্যায্য এবং আদর্শ সমাজ গঠন করতে দেয় যেখানে একটি নিরাপদ এবং সুখী স্থান গঠন করে প্রত্যেকে সমান হিসাবে বিবেচিত হতে এবং একে অপরের সাথে একত্রিত হয়ে বসবাস করতে চায়। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের একটি অনুশীলন, গণতন্ত্রের ধারণা এবং এর প্রকৃত মূল্য সাম্প্রতিক সময়ে বিকশিত এবং পরিবর্তিত হচ্ছে। বিশ্বে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ার সাথে সাথে একটি গণতান্ত্রিক সমাজের গুরুত্ব বোঝা যায় এবং এ কারণেই আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালন করা হয়।

গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের পথকে সঙ্কুচিত করে দেয়া হয়েছে। নাগরিক অধিকার, ভোটাধিকার, মানবিক মর্যাদা ও মানবিক সাম্য হরণ করা হয়েছে। নানা কালাকানুনের মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে হরণ করে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কন্ঠরোধ করা হয়েছে। ভিন্নমতের কারণে অনেকেই গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। তিনি বলেন, এদেশে জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়ে ঘোর দুর্দিন নামিয়ে আনা হয়েছে। অবাধ, নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের পথ রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। অবৈধ শাসন ফ্যাসিবাদী কায়দায় দীর্ঘায়িত করতে যেয়ে সরকার দেশ, রাজনীতি ও গণতন্ত্রকে চরম দুর্দশায় ফেলেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেণ, গণতন্ত্র এমন একটি শাসনব্যবস্থা যেখানে জনগণ সরাসরি শাসনব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারে। জনগণের মতামতই হয় সরকার পরিচালনার ভিত্তি। কেবলমাত্র গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় শান্তি, স্থিতিশীলতা, টেকসই উন্নয়ন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন