টিপ পরা নিয়ে এক নারীকে হেনস্তা করার অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেক নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি ভুক্তভোগী। চাকরিরত অবস্থায় ছিলাম। এ জন্য কথা বলতে পারিনি। ঘটনায় কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্ত্রী ও শিশুসন্তানের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। একই ঘটনার প্রতিবাদে দীর্ঘদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তিনি অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছাড়াও অভিযোগকারী লতা সমদ্দারের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
গত এপ্রিল মাসের শুরুতে রাজধানীর ফার্মগেটে তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক লতা সমাদ্দার টিপ পরা নিয়ে হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেন পুলিশ সদস্য নাজমুলের বিরুদ্ধে। পরে তাঁকে শনাক্ত করে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তিনি ডিএমপি প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
সাবেক এই পুলিশ সদস্য বলেন, ‘সড়কে উল্টো পথে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। সেদিন দুর্ঘটনাবশত অভিযোগকারীর গায়ে বাইকের ধাক্কা লাগে। আমি তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে চলে যেতে চাইলে আমার ইউনিফর্মের শোল্ডার ধরে ফেলে দেন। এই ঘটনা ঢাকতে টিপ–কাণ্ড সাজানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ না করে বিচার করা হয়েছে। মনগড়া প্রতিবেদন দিয়েছেন। সুস্পষ্ট তথ্য ও প্রমাণ তাঁরা দেখাতে পারেননি। নিম্নপদস্থ কর্মী হওয়ায় তিনি কথা বলতে পারেননি। চাকরিতে থাকার সুযোগে এবং আমার দাড়িুটুপির কারণে আমাকে মৌলবাদী বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি ট্রাফিক আইন ভেঙেছি, ট্রাফিক আইনে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হতে পারে। কিন্তু চাকরি চলে যেতে পারে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন