গ্রামীণ যোগাযোগ বিষয়ক সমীক্ষায় সংযোগবিহীন গ্রামের যে তথ্য উঠে এসেছে তার আলোকে এসব গ্রামে কীভাবে যোগাযোগ সুবিধা প্রতিষ্ঠা করা যায় সেই বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। একই সঙ্গে এলজিইডি কোর রোড নেটওয়ার্কের তার সঙ্গে কীভাবে এসব গ্রাম সম্পৃক্ত করা যায় তাও পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে- স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘‘আমার গ্রাম-আমার শহর’’ কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ যোগাযোগ: আগামীর কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক অংশীজন কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসিন এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার এলজিইডি ভববনে গ্রামীণ যোগাযোগ: আগামীর কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে এ কর্মশালায় চারটি সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
সরকারের ‘‘আমার গ্রাম-আমার শহর’’: প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণে বাস্তবায়নে বাস্তবভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের অংশ হিসেবে সমীক্ষা পরিচালিত হচ্ছে। সভায় প্রকল্পের উপদেষ্টা ড. কাজী আনোয়ারুল হক বলেন, আলোচনা থেকে যেসব সুপারিশ ওঠে এসেছে সেগুলো সমন্বয় করে সমীক্ষাগুলো চূড়ান্ত করা হবে। কর্মশালায় সমাপনী বক্তব্যে এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবিব বলেন, এসব সমীক্ষা এলজিইডির সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করবে।
গ্রামীণ সড়কের টেকসই ব্যবস্হাপনা আগামীর কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে সমীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আমার গ্রাাম-আমার শহর›› কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আবুল মনজুর মোঃ সাদেক। হাওর, চর ও দ্বীপাঞ্চলের যোগাযোগ বিষয়ে ফলাফল উপস্থাপন করেন ‹›আমার গ্রাম-আমার শহর›› প্রকল্পের সিনিয়র রোড ইনফ্রস্ট্র্রোকচার স্পেশালিস্ট মো. রফিকুল ইসলাম এবং পার্বত্য অঞ্চলের গ্রামীণ যোগাযোগ বিষয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডিইসিএল-এর ডেপুটি টিম লিডার নূরুন্নাহার বেগম। কর্মশালায় এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং প্রকল্প পরিচালকরা অংশ নেন ও সুপারিশ তুলে ধরেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন