চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে কার্নেট দ্য প্যাসেজ সুবিধায় ল্যান্ড রোভার, মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউ, লেক্সাস, জাগুয়ার, মিতসুবিশি জিপ আমদানি হয়েছিল। তবে আমদানিকারকরা খালাস না নেওয়ায় ৭৯টি গাড়ি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। নিলামে আগ্রহী দরদাতারা আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৯টা পর্যন্ত কাস্টম হাউস চট্টগ্রাম ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রদর্শিত ই-অকশন লিংকে প্রবেশ করে দরপত্র দাখিল করতে পারবেন। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম, মোংলা ও সিলেটের নির্ধারিত জায়গায় রাখা টেন্ডারবক্সে দরপত্র জমা দেওয়া যাবে।
গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার মো. মাহফুজ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাড়িগুলো নিলামে বিক্রির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস নিজস্ব উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিয়ারেন্স পারমিট সংগ্রহ করেছে। সুতরাং নিলামে গাড়ি ক্রেতাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিয়ারেন্স পারমিট সংগ্রহ করতে হবে না। যৌক্তিক দর পেলে এবার নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়িগুলো বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হবে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে কার্নেট দ্য প্যাসেজ সুবিধায় বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা গাড়িগুলো খালাস করেনি। আমদানি করা ও অখালাস করা গাড়িগুলো নিষ্পত্তির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক পত্রের মাধ্যমে ২০২২ সালের ২ জানুয়ারি একটি ইনভেন্ট্রি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি আমদানি করা ওই গাড়িগুলো সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক ইনভেন্টরি প্রতিবেদন দাখিল করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ৭৯টি গাড়ির নিলাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
নিলাম কার্যক্রম অধিকতর স্বচ্ছ এবং প্রতিযোগিতাপূর্ণ করার উদ্দেশে প্রচলিত নিলামের পাশাপাশি ই-অকশন পদ্ধতিতে নিলাম করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন