আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা-১০ আসনের এমপি অ্যাড. কামরুল ইসলাম বলেছেন, রাজনীতিকে বিকেন্দ্রীকরণ করা, সব পেশার মানুষকে নির্যাতন করেছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরও তারা কারাগারে পাঠিয়েছিল।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কফিনে বিএনপি তখন শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছিল। লজ্জ্বা তাদের হয় না। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপ দেখেছি। কাজেই মানুষ এখন আর সেটি চিন্তাই করতে পারে না।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ড. আকবর আলি খানের মৃত্যুতে আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কামরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সে সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন করেছিল একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে জনগণকে উদ্ধার করার জন্য। আকবর আলী খান অত্যন্ত বিচক্ষণ ব্যক্তি ছিলেন বলেই তিনি পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে আকবর আলী খানের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, সে সময় উনি নিজ দায়িত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সেই সময়ে বাংলাদেশ সরকারের ট্রেজারে ৩ কোটি টাকা জমা দিয়েছিলেন।
কামরুল ইসলান বলেন, মাঝে তিনি যখন আবার শিক্ষকতায় ফিরে আসতে চাইলেন, বঙ্গবন্ধু তাকে সে সুযোগ দিয়েছেলেন। তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিলেও বঙ্গবন্ধু সেটি গ্রহণ না করে, তাকে লম্বা ছুটি দিয়েছিলেন। আকবর আলী খান বর্নাঢ্য জীবনের অধিকারী ছিলেন। শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের এমপি এবাদুল করিম বুলবুল, সাংবাদিক সৈয়দা আক্তার ইউসুফ শানু, গ্লোবাল টিভির এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, পিএসসির সদস্য প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন