বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ফের প্রকাশ্যে যৌনতায় ভরা কথোপকথন, বিব্রত রাজা চার্লস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৮:২০ পিএম

যৌবন পেরিয়ে বার্ধক্য পৌঁছে মিলেছে সিংহাসন। তবু স্বস্তি নেই! প্রয়াত প্রাক্তন স্ত্রীর ভুত যেন তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাকে। রাজা হতে না হতেই ফের সামনে এল পুরনো কেচ্ছা। যার জেরে গোটা দুনিয়ার কাছে আবারও বেআব্রু হয়ে পড়ল রক্ষণশীল ব্রিটিশ রাজপরিবার।

মাস দুই আগেই ‘পার্টিগেট’ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় প্রধানমন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছে বরিস জনসনকে। সেই বিতর্কের পাট চুকতে না চুকতেই এবার ‘ক্যামিলাগেট’ কেলেঙ্কারি নিয়ে সরগরম টেমসের তীর। ‘চরিত্রহীন’ রাজাকে কেন সিংহাসনে রাখা হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। যদিও এই নিয়ে ব্রিটেনের রাজপথে কোনও আন্দোলন শুরু হয়নি। তবে নতুন করে বিতর্ক শুরু হওয়ায় ব্রিটিশ রাজপরিবারের গৌরব যে অনেকটাই ক্ষুন্ন হচ্ছে তা মেনে নিয়েছেন বহু গবেষকই।

সোমবার লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে সমাধিস্থ করা হবে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে। সব প্রস্তুতি সাড়া। হঠাৎই ব্রিটেনজুড়ে শুরু হয়েছে ‘ক্যামিলাগেট’ কেলেঙ্কারি নিয়ে আলোচনা। ৩৩ বছর আগে যে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বর্তমান রাজা। সালটা ছিল ১৯৮৯। ব্রিটেনের সিংহাসনে তখন স্বমহিমায় বিরাজমান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। হঠাৎ জানা গেল, যুবরাজ চালর্স এবং তার স্ত্রী ডায়নার ‘সুখের’ সংসারে ‘অনুপ্রবেশ’ ঘটেছে তৃতীয় নারীর। নাম ক্যামিলা পার্কার। ১৯৯২-তে যুবরাজ চার্লস এবং ক্যামিলা একটি যৌনতায় ভরা কথোপকথনের অডিও টেপ ফাঁস হয়ে যায়। ততদিনে অবশ্য স্বামীর থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেছেন যুবরানি ডায়না।

একাধিক ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ওই অডিও টেপটি শোনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এর পরই ‘চরিত্রহীন’ স্বামীর সঙ্গে আর থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি। ১৯৯৬-তে চার্লস-ডায়নার বিয়ে ভেঙে যায়। ঠিক তার পরের বছরই প্যারিসে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ব্রিটেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় যুবরানি ডায়নার।

স্ত্রীর মৃত্যুর নয় বছর পর ২০০৫-এ ক্যামিলি পার্কারকে বিয়ে করেন চার্লস। গত ৮ সেপ্টেম্বর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর বড় ছেলে হিসেবে ব্রিটেনের সিংহাসনে বসেন তিনি। তারপর থেকেই ফের শুরু হয়েছে ডায়নাকে নিয়ে আলোচনা। আবারও নতুন করে সামনে এসেছে সেই ফাঁস হয়ে যাওয়া অডিও টেপের কথোপকথন। প্রথা অনুসারে ‘কুইন কনসর্ট’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন ক্যামিলি। আর এই নিয়েও আপত্তি জানিয়েছেন রক্ষণশীল ব্রিটিশদের একাংশ। যার জন্য যুবরানি ডায়নার ঘর ভেঙেছিল, তাকেই কেন ‘কুইন কনসর্ট’ করা হচ্ছে? প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

ব্রিটেনের ইতিহাসে চার্লস নামের রাজাদের নিয়ে বরাবরই বিড়ম্বনার শেষ নেই। এর আগেই দুই চার্লস নামের রাজাদের আমলে গৃহযুদ্ধে জড়়িয়েছিল ব্রিটেন। আবারও বিতর্ককে সঙ্গী করে সিংহাসনে বসলেন তৃতীয় চার্লস। সূত্র: টিওআই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন