৯ এসএসসি পরীক্ষার্থী বহিষ্কারের ঘটনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর প্রত্যেকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।
‘ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’র পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী এ নোটিশ দেন। নোটিশদাতারা হলেন, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব, অ্যাডভোকেট মো. রোকনুজ্জামান এবং অ্যাডভোকেট নাইম সরদার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি), পটুয়াখালীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী কমিশনার) মো. ইসমাইল রহমান, খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব নূসরাত জাহানকে নোটিশের ‘প্রাপক’ করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ১২ ঘণ্টার মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে -মর্মে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
নোটিশের বিষয়ে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব বলেন, পটুয়াখালির গলাচিপা উপজেলার খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয কেন্দ্রের ৯ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করেন। ফলে ওই ৯ শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারে গভীর হতাশা নেমে এসেছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলে তিনি বহিষ্কারাদেশ পরিবর্তন করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এভাবে বহিষ্কার করায় শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, একইভাবে ঘটনাটি দেশের প্রত্যেক বিবেকবান ব্যক্তিকে আলোড়িত করেছে। ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিপীড়ণমূলক, বেআইনি এবং অযাচিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছেন। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন