ইসলামী আন্দোলনের বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সরকারের দুর্বল কূটনীতির সুযোগে মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বেড়েই চলেছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে, মিয়ানমার বাহিনীর ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু। অকারণে নিরীহ রোহিঙ্গা শিবিরে মিয়ানমার সেনাদের গোলাবর্ষণের ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের ওপর এই হামলা ক্ষমার অযোগ্য। সীমান্তে মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর বেপরোয়া তৎপরতা ও সর্বশেষ নিক্ষিপ্ত মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
শনিবার রাতে নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের একটি কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইমা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আইম্মা পরিষদের নির্বাহী সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হক জিহাদীর সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শেখ আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে উলামায়ে কেরামের দায়িত্ব ও কর্তব্য শীর্ষক এ ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন হাটহাজারী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র মোহাদ্দিস আল্লামা আশরাফ আলী নিজামপুরী, চট্টগ্রাম দারুল মারিফ মাদরাসার সহকারী পরিচালক আল্লামা ফুরকানুল্লাহ খলিল, মোজাহের উলুম মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা লোকমান হোসাইন, চবির সহকারী অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির খালভী, আল্লামা ড. বেলাল নূর আজিজি প্রমুখ।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। দেশ নিয়ে সচেতন ওলামায়ে কেরামকে ভাবতে হবে এবং হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে সকলকে ইসলাম, দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, দেশে ইসলামী শিক্ষা সংকোচন নীতি অবলম্বন করছে সরকার। সেদিকে সকলকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার জন্য ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন