স্টাফ রিপোর্টার : সাংবাদিক নির্যাতনের পরিণাম শুভ হবে না বলে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, সাংবাদিক নির্যাতন করে শাসক মহল তাদের অপকর্ম আড়াল রাখতে চায়। সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হচ্ছে না। হামলা-মামলাসহ নানামুখী ভয়-ভীতি দেখিয়ে সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের হয়রানি করা হচ্ছে।
তার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, ৭০টি মামলা থেকে জামিন পাওয়ার পর আবার দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে আরেকটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়ায় আমি উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
খালেদা জিয়া বলেন, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে মিথ্যা মামলায় আটক থাকার পর আপিল বিভাগসহ বিভিন্ন আদালত থেকে প্রায় ৭০টি মামলার সবক’টিতে জামিন লাভের পরও আরেকটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। আমি এই ন্যক্কারজনক ও নির্লজ্জ নিপীড়নের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং একজন সাহসী সম্পাদককে যে কোনো মূল্যে আটক রাখার অপপ্রয়াসের নিন্দা জানাচ্ছি।
বিএনপি প্রধান বলেন, কয়েকদিন আগে ঢাকার পুলিশ কমিশনার আর কাউকে শ্যোন অ্যারেস্ট না করার নির্দেশ দেয়ার পরও মাহমুদুর রহমানের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত রাখতে এবং তার কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতেই শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, সর্বোচ্চ আদালত থেকে সর্বশেষ মামলায় জামিন মঞ্জুরের পর মাহমুদুর রহমানকে আরেক মামলায় জড়িয়ে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর পদক্ষেপ ধৃষ্টতামূলক ও আদালত অবমাননার শামিল।
বিবৃতিতে তিনি মাহমুদুর রহমান ও শওকত মাহমুদসহ আটক সকল সাংবাদিককে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার এবং সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে ক্ষমতাসীনরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী পদক্ষেপ অব্যাহত রেখে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আমার দেশসহ অনেক সংবাদপত্রের প্রকাশনা এবং বেশ ক’টি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে।
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া সাংবাদিক নির্যাতন, মত দলন ও ভিন্নমত স্তব্ধ করার অপচেষ্টার অশুভ পরিণাম সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করে দেন।
আলী আজগরকে চিরদিন কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে বিএনপি
ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আজগর মাতব্বরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক শোকবার্তায় খালেদা জিয়া বলেন, মরহুম আলী আজগর মাতব্বরের মৃত্যুতে ঢাকা মহানগরবাসীর ন্যায় আমিও গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত। জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রচার ও প্রসারের জন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে এবং জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সুসংগঠিত করতে তার অবদান ঢাকা মহানগর বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী চিরদিন কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে।
তিনি বলেন, মরহুম আলী আজগর মাতব্বর ছিলেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শনে উদ্বুদ্ধ একজন সৎ ও নির্ভীক রাজনীতিবিদ। তিনি ঢাকা মহানগর বিএনপিকে সুসংগঠিত, শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার মৃত্যুতে ঢাকা মহানগর বিএনপি একজন সুদক্ষ, কর্মতৎপর ও শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নে নিবেদিত প্রাণ সংগঠককে হারাল, যার শূন্যস্থান সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মরহুম আলী আজগর মাতব্বর এর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলামের ইন্তেকালে শোক
বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, দেশের কীর্তিমান আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ মাহমুদুল ইসলামের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বেগম খালেদা জিয়া।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মরহুম মাহমুদুল ইসলাম একজন খ্যাতিমান আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে বিচার বিভাগের সুনাম ও মর্যাদা অক্ষুণœ রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। বেগম জিয়া বলেন, মাহমুদুল ইসলামের মতো একজন খ্যাতিমান আইন বিশারদকে হারিয়ে গোটা জাতি আজ শোকাভিভূত। তিনি বলেন, তার মৃত্যুতে দেশবাসীর ন্যায় আমিও গভীরভাবে মর্মাহত। মরহুম মাহমুদুল ইসলামের বিদেহী রুহের মাগফিরাত কামনা করে তার শোকাহত পরিবারের সদস্যবর্গ, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন