অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ নদ-নদী খনন ও নিয়মিত পলি অপসারণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশার ২১ জন নাগরিক। একইসঙ্গে নৌযান মালিকদের বিভিন্ন ধরনের হয়রানি বন্ধ ও যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর দাবিও জানান তারা। গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এসব দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, যাত্রীবাহী নৌযানের বার্ষিক ফিটনেস (সার্ভে), রুট পারমিট ও সময়সূচি পেতে মালিকেরা নানা রকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এসব কারণে বিভিন্ন ধাপে অহেতুক অর্থব্যয় হচ্ছে বলে লঞ্চমালিকরা অভিযোগ করে আসছেন। এছাড়া বিভিন্ন নদীবন্দরের টার্মিনাল ও নৌঘাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও যাত্রীসেবার মান সন্তোষজনক নয়। এসব কারণে নৌপথে যাত্রী কমতে শুরু করেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। বিভিন্ন পেশার নাগরিকরা অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিলুপ্ত নৌপথ পুনরুদ্ধারে বড় নদীগুলো খননের জন্য একাধিক মেগাপ্রকল্প হাতে নেওয়া হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কাক্সিক্ষত সাফল্য আসেনি। বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহীর কমিটির (একনেক) সভায় চার হাজার ৩৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই ও পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার’ প্রকল্প অনুমোদন হয়। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও প্রায় চার বছরেও আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি।
নৌপথের নাব্য সংরক্ষণে নিয়মিত ড্রেজিংয়ে (পলি অপসারণ) স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নেই বলেও অভিযোগ করেন নাগরিকরা। তারা বলেন, নাব্য সঙ্কটের কারণে ঢাকা-বরিশালসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নৌপথে যাত্রী ও পণ্যবাহী বড় নৌযান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়ে অনেক লঞ্চ ও পণ্যবাহী জাহাজমালিক তাদের ব্যবসা বন্ধ করার চিন্তা করছেন। বিদ্যমান সঙ্কট নিরসনে সেবার মান বৃদ্ধিসহ নৌখাতের সার্বিক উন্নয়ন এবং নদী খনন ও পলি অপসারণের তথ্য-উপাত্ত নিয়মিত গণমাধ্যমে প্রকাশের জোর দাবি জানান হয় বিবৃতিতে। বিবৃতিদাতারা হলেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, বিশিষ্ট শিশু সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন