বগুড়ার শিবগঞ্জে দুই শিশু ভাইবোনকে হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গতকাল সোমবার বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন এবং বিচারপতি একে এম জহিরুল হকের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন। আসামিপক্ষের আপিল এবং সরকারপক্ষের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত। সরকারপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম।
২৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিবগঞ্জের আটমুল মোঘলপাড়া গ্রামের মুসা প্রামাণিকের মেয়ে রহিমা খাতুন (৮) ও ছেলে আবদুর রহিমকে (৬) অপহরণ করে আসামিরা। ২০০৪ সালের ২ নভেম্বর দুপুরে মাহফুজুল ওই দুই শিশুকে মাছ দেয়ার প্রলোভনে আটমুল মাঠের রজনীকুড়ি ডোবা ডেকে নিয়ে যায়। শিশুরা সেখানে গেলে আসামিরা তাদের অপহরণের চেষ্টা করে। সেসময় শিশুরা চিৎকার দিলে আসামিরা তাদের গলাটিপে হত্যা করে। এরপর লাশ একটি ধানক্ষেতে ফেলে দেয়।
শিশু রহিমা ও রহিম বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাদের খোঁজাখুঁজি করে। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানায় জিডি করা হয়। ঘটনার ৭ দিন পর ৯ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে আটমুল মাঠে ধানক্ষেতে দুই ভাইবোনের গলিত লাশ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে তাদের বাবা মুসা প্রামানিক শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেন। আসামিরা হলেন, শিবগঞ্জের আটমুল মোঘলপাড়া গ্রামের মফিজ উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে মাহফুজুল হক, একই গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে আকতার হোসেন আতাউর। একই এলাকার আলতাফ আলী প্রামানিকের ছেলে আবুল কালাম বাদশা। বিচার শেষে ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আসামি আবুল কালাম ওরফে বাদশা এবং মো. মাহফজুলকে মৃত্যুদণ্ড এবং আতাউরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন