তিন বছরের জন্য পুনঃতফসিল করা যাবে কৃষি ঋণ। উৎপাদন কার্যক্রম গতিশীল ও পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে এ বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ ও পুনর্গঠন সংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলারের শর্ত এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, বিআরপিডি সার্কুলার নং-১৬/২০২২ (ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ ও পুনর্গঠন সংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলার) জারি থাকা সত্ত্বেও স্বল্পমেয়াদি কৃষি ঋণ যথারীতি পুনঃতফসিল করা যাবে। একইসঙ্গে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৯(১)(চ) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
গত ১৯ এপ্রিল কৃষি খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ পরিশোধ সহজতর করা এবং স্বাভাবিক ঋণ প্রবাহ বজায় রাখতে স্বল্প মেয়াদী কৃষি ঋণ পুনঃতফসিলিকরণের ক্ষেত্রে নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ডাউন পেমেন্টের শর্ত শিথিল করে স্বল্পমেয়াদি কৃষি ঋণ পুনঃতফসিলের তারিখ থেকে ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ তিন বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করা যাবে। ক্ষেত্রবিশেষে বিনা ডাউন পেমেন্টেও এ ধরনের ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ঋণ পুনঃতফসিলের পর এ খাতের ঋণগ্রহীতাদের কোনো অর্থ নতুনভাবে জমা ছাড়াই পুনরায় নতুন ঋণ দেওয়া যাবে। সার্টিফিকেট মামলা চলাকালীন গ্রাহকের সঙ্গে সমঝোতার (সোলেনামা) মাধ্যমে সার্টিফিকেট মামলা স্থগিত বা নিষ্পত্তি করে ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। এছাড়া ইতোপূর্বে পুনঃতফসিল করা স্বল্পমেয়াদি কৃষি ঋণের ক্ষেত্রেও নতুন এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। কৃষি ঋণ সংক্রান্ত অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন