এ যুগে আশ্চর্য কত ঘটনাই ঘটে, পাতিহাঁস কালো ডিম পাড়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য। ঘটনাটি রূপকথার মতো অবাক হলেও ঘটনা সত্যি। অলৌকিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভোলার চরফ্যাশনে উপজেলায় জিন্নাগড় ইউনিয়নে। পাতিহাঁস কালো ডিম পাড়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে দাসকান্দি এলাকায় আবদুল মান্নান রাঢ়ী বাড়িতে আব্দুল মতিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম ঘরোয়াভাবে ১১টি পাতিহাঁস লালন পালন করে। গতকাল সকালে তার হাঁসের খোয়ারে একটি হাঁস কালো ডিম দেয়। ডিমের রং গাঢ় কালো দেখে তিনি ভয় পেয়ে বাড়ির অন্যদের দেখালে এলাকায় দ্রুত জানাজানি হয়ে পড়ে। পাতিহাঁসের কালো ডিম দেখতে সকাল থেকে ওই বাড়িতে মানুষের সমাগম ঘটতে থাকে।
এ বিষয়ে ভোলা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, দেশীয় পাতিহাঁস কালো ডিম পেড়েছে এই ঘটনা বাংলাদেশে এই প্রথম। এই ডিমকে অস্বাভাবিক ডিম বলে মন্তব্য করেন। জিং ডিং জাতের হাঁস হালকা নীল রঙের ডিম দেয়, পাতিহাঁস কালো ডিম পেড়েছে কখনো শুনিনি এবং দেখিনি। ভারতীয় ব্রিডের কাদারনাথ কালো মাসি জাতের মুরগী রয়েছে যারা কালো ডিম পারে এবং যার গোশতও কালো। জানামতে পাতিহাঁস কালো ডিম পাড়তে পারে ঐ হাসের জরায়ু বা শারীরিক কোনো সমস্যার কারণে কালো ডিম পাড়তে পারে। অলৌকিক এই কালো ডিমকে অস্বাভাবিক ডিম বলে মন্তব্য করেছেন।
চরফ্যাশন উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম বলেন, এই ঘটনা আরো কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে কি কারণে এই হাঁসটি কালো ডিম পেড়েছে। যদি দেখা যায় এই হাঁসটি ধারাবাহিকভাবে কালো ডিম পাড়ছে তাহলে প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের গবেষণাগারে হাঁস ও ডিম পাঠানো হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন