ঢাকা ও নোয়াখালীর চাটখিল এলাকা থেকে ১৫টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ঢাকার উত্তরা ও বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল চলে যেতো নোয়াখালী ও এর আশপাশের জেলায়। পরে একাধিক হাত বদলের মাধ্যমে বিক্রির পর ব্যবহার হতো এসব চোরাই মোটরসাইকেল।
গ্রেফতাররা হলেন-মোহাম্মদ আলী, আনোয়ার হোসেন রুবেল, মো. সামছুল হুদা, কামাল হোসেন আকাশ ও মিজান। গত বুধবার রাজধানী ঢাকা ও নোয়াখালীর চাটখিল থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ডিবি প্রধান বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি উত্তরা দক্ষিণখান থানায় একটি মোটরসাইকেল চুরির মামলা করেন একজন ভুক্তভোগী। পরে মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে ডিবি এ চোরচক্রকে শনাক্ত করতে হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানান, গত কয়েক বছর ধরে ঢাকার উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে নোয়াখালী জেলার চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানা এলাকায় বিক্রি করতেন। চাটখিল পূর্ব বাজার সংলগ্ন আনোয়ার হোসেনের গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার করা হয়।
ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ আরো বলেন, নকল চাবি দিয়ে চক্রের সদস্যরা গ্যারেজ ভেঙে অথবা পার্কিং করা অবস্থায় গাড়ি চুরি করে পালিয়ে যেতো। মোটরসাইকেল চুরি হলে অনেকেই থানায় জিডি বা মামলা করেন না। রাজধানী থেকে যে কোনো গাড়ি চুরি হলেই মামলা না করলে অন্তত জিডি করার পরামর্শ দেন হারুন অর রশীদ। তিনি আরো বলেন, দোহার, নবাবগঞ্জ ও নোয়াখালীতে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চেক করা হলে কম সংখ্যক মোটরসাইকেলের সঠিক কাগজপত্র পাওয়া যাবে। এসব চোরাই মোটরসাইকেলের অধিকাংশেরই কাগজ নেই। চোরাই মোটরসাইকেল যার কাছ থেকে পাওয়া যাবে সেই চোর হবে এবং তাকে গ্রেফতার করা হবে। পুরাতন মোটরসাইকেল কেনার আগে অবশ্যই কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে কেনার পরামর্শ দেন ডিবির এ কর্মকর্তা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন