সউদী আরবের পবিত্র মক্কায় অনুষ্ঠিত সউদীর বাদশাহ আবদুল আজিজ ৪২তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১১১টি দেশকে পেছনে ফেলে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে ১৩ বছর বয়সী বাংলাদেশের প্রখ্যাত হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম। বুধবার রাতে মক্কার পবিত্র হারাম শরিফে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। সেখানে সালেহর হাতে ১ লাখ রিয়াল (প্রায় ৩০ লাখ ৩০ হাজার টাকা) পুরস্কার, সনদ ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়। হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিমের উস্তাদ হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন মক্কা থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিজয়ী হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম মহান আল্লাহ’র কাছে শুকরিয়া আদায় করে দেশবাসির কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
সউদী বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা মুসলিম বিশ্বের বড় ও মর্যাদাপূর্ণ একটি প্রতিযোগিতা। এতে বিশ্বের ১১১টি দেশের ১৫৩ জন কোরআনের হাফেজ অংশ নেয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সউদী বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের উপদেষ্টা ও মক্কা নগরীর গভর্নর খালেদ আল ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ, সউদী আরবের ইসলাম ও দাওয়াহবিষয়ক মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিন আবদুল আজিজ আলে শেখসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত মার্চে ইরান আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় সালেহ আহমাদ তাকরীম প্রথম স্থান ও মে মাসে লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থান অর্জন করে।
সালেহ আহমাদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ভাদ্রা গ্রামে। তার বাবা হাফেজ আবদুর রহমান একটি মাদরাসার শিক্ষক। মা গৃহিণী। সালেহ ঢাকার মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামি মাদরাসার ছাত্র। তার কৃতিত্বের জন্য মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট ও গুলশান সোসাইটি মসজিদের খতিব মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
বিশ্বজয়ী হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীমকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে জাতীয় ইমাম পরিষদ বাংলাদেশ। গতকাল জাতীয় ইমাম পরিষদ বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া ও সেক্রেটারী জেনারেল মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন এক বিবৃতিতে বলেন, পবিত্র মক্কায় অনুষ্ঠিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করে ধর্মপ্রাণ মানুষের প্রশংসায় ভাসছে বাংলাদেশের ক্ষুদে হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরিম। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা বৃদ্ধি করায় বিশ্বজয়ী হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীমকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা।
নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা ১১ জন মিলে বিশ্বকাপ নয় মাত্র ৮ টি দেশকে হারিয়ে ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হওয়াতে অনেক গণমাধ্যমে নিউজের ঝড় উঠেছে। নতুন গাড়ী ও প্রস্তুত করা হল তাদেরকে বহন করার জন্য। অথচ এই দেশের কোরআনের হাফেজরা বিশ্বের বুকে বিজয়ের পতাকা অর্জন করে আনে তখন কোনো আয়োজন চোখে পড়ে না। এটা খুবই লজ্জাজনক। তারা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব বিজয়ী হাফেজদের সংবর্ধনা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন