বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, সরকার এবার ‘ইভিএম কারচুপির’ মাধ্যমে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাচ্ছে। তাইতো দেশের আর্থিক সঙ্কটের সময়ও প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২ লক্ষ ইভিএম কেনার প্রকল্পের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের এ উদ্যোগ অপ্রয়োজনীয় ও রাষ্ট্রীয় অর্থের বিরাট অপচয়। জনগণ এটা মেনে নেবে না। এ প্রকল্প বাতিল করতে হবে। গতকাল পার্টির পল্টন শাখার সদস্যবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
সাইফুল হক ক্ষোভের সাথে বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করে ইভিএমকে আগামী নির্বাচনে কারচুপির অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে। নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছাপূরণের জন্য বেশিরভাগ দলের মতামত উপেক্ষা করে ইভিএমে নির্বাচন করতে চাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ অনেকটা ‹গরীবের ঘোড়া রোগে›র মতই। পৃথিবীর উন্নত দেশসমূহ যখন ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ থেকে সরে এসেছে তখন সকল বিরোধীদল ও জনগণের বিরোধিতা ও প্রত্যাখ্যানের মুখে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম চালুর প্রচেষ্টা নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও ন্যুনতম বিশ্বাসযোগ্যতা পুরোপুরি ধ্বংস করবে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষেই যে নির্বাচন কমিশনের জবরদস্তিমূলক এই তৎপরতা তাতে দেশবাসীর কোন সন্দেহ নেই। তাছাড়া দেশের সংকটজনক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এই কেনাকাটার চাপও শেষ পর্যন্ত জনগণকেই বহন করতে হবে।
সাইফুল হক বলেন, এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে রাজপথে নেমে গণআন্দোলনের মাধ্যমে ভোটের ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে জনগণের সংগ্রামী ঐক্য গড়ে তুলে নির্বাচনী ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
মতবিনিময়ে অংশ নেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান ফিরোজ, পল্টন শাখার কমিটির সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, আবদুল গনি খান, ইউসুফ জামিল, লিয়াকত হোসেন সাগর, মোঃ হুমায়ুন শেখ, জাহাঙ্গীর আলম,মহসিন প্রামাণিক প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন