শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিএনপি লাশ ফেলে আন্দোলন জমাতে চায় : সেতুমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বিএনপি লাশ ফেলে আন্দোলন জমাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, রাজপথে লাশ ফেলে আন্দোলন জমানোর অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ কাউকে রাজপথ ইজারা দেয়নি। বিএনপি ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে, সংযমী হয়ে রাজপথে থাকতে হবে। গতকাল শনিবার গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তার বাসভবন থেকে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

গাইবান্ধা শাহ আব্দুল হামিদ স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের এই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। দেশের উন্নয়ন, অর্জন চাইলে শেখ হাসিনার মতো সৎ ও দক্ষ নেতৃত্বের বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে সম্মানিত করেছেন।
বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বারবার বলেন, বিদায়ের সাইরেন নাকি বাজছে। এই সাইরেন ১৪ বছর ধরে ফখরুলে কানে বাজে, জনগণের কানে বাজে না।
আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দলে শৃংখলা রাখতে হবে। নেতৃত্ব দিতে হলে শৃংখলা শিখতে হবে। আমাদের নেতা একজন শেখ হাসিনা আর সব কর্মী। বঙ্গবন্ধুর চেতনায় ধারণ করতে পারলে সত্যিকার অর্থে আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত হবে, ঐক্যবদ্ধ ও আধুনিক স্মার্ট দল হবে। তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘে শেখ হাসিনা তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বাংলা ভাষায় ভাষণ দিয়েছেন। আমরা শুনেছি তিনি কিভাবে পিতার মতো বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা জাতিসংঘে ইতিবাচক বস্তুনিষ্ঠ, মানবতাবাদী বক্তৃতা দিয়েছেন। যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, শান্তির আহবান জানিয়েছেন। তার বক্তৃতা সারাবিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের ঘুরে দাঁড়ানোর চিত্র তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর রণধ্বনি জয় বাংলা নির্বাসনে, স্বাধীনতার মূল্যবোধ নির্বাসনে পাঠানো হলো। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ হয়ে গেলো। তারপর ৬টি বছর আমরা অমানিসার অন্ধকারে ছিলাম। দল কলহ-কোন্দলে জর্জরিত ছিলো। দুঃখিনী বাংলায় পিতার রক্তভেজা মাঠিতে অন্ধকারে আলোকবর্তিকা হয়ে শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন। সুনামগঞ্জ থেকে সন্দরবন ঘুরে ঘুরে দলকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, শেখ হাসিনা না দেশে ফিরে না আসলে যুদ্ধাপরাধী বিচার করার দুঃসাহস কারো হতো? বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যার বিচার কি হতো? শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে শৃংখল মুক্ত করেছিলেন। দলের কর্মীদের খোঁজখবর রাখার জন্য দলের নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, পকেট কমিটি করা চলবে না। দুঃসময়ে নিবেদিত কর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ।
ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, সদস্য সফুরা বেগম রুমি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, এ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম হিরু।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন