মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও বিস্তারে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে। দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক আমাদের জন্য খুবই উপযোগী। আমরা এক সময় সামুদ্রিক মাছে অভ্যস্ত ছিলাম না। বিদেশি মাছের চাষাবাদও এখানে হতো না। আমাদের সবচেয়ে সুস্বাদু মাছ ছিল দেশীয় মাছ। সে মাছ নানা ঘটনা প্রবাহে কমে যাচ্ছে। আধুনিক শস্য চাষ করতে গিয়ে একদিকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে অন্যদিকে গুরত্ব কম দেওয়া হয়। এতে দেশীয় মাছ উৎপাদনের উৎস মূলে আঘাত করা হয়েছে।
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এর থ্রিডি হলে গতকাল মৎস্য অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের কেন্দ্রীয় অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। শ ম রেজাউল বলেন, জলাশয়, পুকুর, নদী ভরাট ও কীটনাশকের অপরিমিত ব্যবহারের কারণে দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হওয়ার মতো অবস্থায় চলে গেছে। মাছের অভয়াশ্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বর্তমান সরকারের কার্যকর উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং মৎস্য অধিদফতর দীর্ঘ কার্যক্রমের মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৭টি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির দেশীয় মাছ ফিরিয়ে এনেছে। মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য ও প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক এস এম আশিকুর রহমান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন