বান্দরবানের আলীকদমে এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় বিজয়ীদের জন্য আনা ট্রফি (কাপ) ভেঙে ফেলার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্তে মাঠে নামছে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়। তদন্তে তিনি দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে মন্ত্রণালয়।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। গত শুক্রবার আলীকদম উপজেলার ২ নম্বর চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের রেপারপাড়া এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে আবাসিক জুনিয়র একাদশ ও রেপারপাড়া বাজার একাদশ দল মুখোমুখি হয়। খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। খেলায় সমাপনী বক্তব্যে এবং পুরস্কার বিতরণ করার একপর্যায়ে ইউএনও জনসাধারণের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের ট্রফি (কাপ) ভেঙে ফেলেন। এতে উপস্থিত দর্শকরাও ইউএনওর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এর আগেও প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক উঠেছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, আমরাও আপনাদের মতো গত শনিবার বিষয়টি জেনেছি। বান্দারবানসহ কুড়িগ্রামের প্রশ্নফাঁসের ঘটনা এবং বগুড়ার যে ঘটনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। আপনারা জানেন যে, এরই মধ্যে প্রত্যেকটি ঘটনার প্রেক্ষিতে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের পর যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসব ঘটনা প্রশাসনকে বিব্রত করে কি না অপকর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে কোনো খারাপ কিছুর জন্য সমাজ যেমন বিব্রত হয়, আমরাও বিব্রত হই। প্রত্যেক ঘটনার প্রেক্ষিতে সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এমন কোনো নজির কিন্তু নেই। তিনি (মেহরুবা ইসলাম) দায়িত্ব পালন করবেন কি না সেটাও তদন্ত প্রতিবেদনেই উঠে আসবে। যদি তিনি দোষী হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
পটুয়াখালীর গলাচিপায় খারিজ্জমা ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মো. ইসমাইল রহমান ৯ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের দায় কী সরকার নেবে এ প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, যদি ব্যক্তি দায় থাকে, তাহলে তো সরকার দায় নেবে না। শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলোকে যদি কমপেনসেট (ক্ষতিপূরণ) করার সুযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা সেটা করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন