হোসি কুনিও হত্যা মামলার আসামি ইছাহাক আলীর খালাস আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার কোর্ট। সরকারপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল রোববার চেম্বার জাস্টিস এম.ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট আহসান উল্লাহ।
গত ২২ সেপ্টেম্বও হোসি কুনিও খুনের মামলায় জেএমবি সদস্য ইছাহাক আলীকে খালাস দেয়া হাইকোর্টেও রায় স্থগিত চেয়ে চেম্বার কোর্টে আবেদন করে সরকারপক্ষ।
গত ২১ সেপ্টেম্বর হোসি কুনিও খুনের দায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ৪ জনের বহাল রাখেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড থেকে ইছাহাক আলীকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন।
২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার জাপানি নাগরিক কুনিও হোসি হত্যার দায়ে জেএমবি’র ৫ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
পরে মৃত্যুদণ্ডের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেএমবি’র পীরগাছার আঞ্চলিক কমান্ডার উপজেলার পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়ার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী, বগুড়ার গাবতলী এলাকার লিটন মিয়া ওরফে রফিক,বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মকর রাজমালী এলাকার আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব এবং গাইবান্ধার সাঘাটার হলদিয়ার চর এলাকার সাখাওয়াত হোসেন। দণ্ডপ্রাপ্ত বিপ্লব পলাতক। হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় এর আগে খালাস পান পীরগাছার কালীগঞ্জ বাজারের আবু সাঈদ। ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকালে জাপানি নাগরিক হোসি কুনিওকে কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি এলাকায় গুলি করে হত্যা করেন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি সদস্যরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন