নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল দল অংশগ্রহণ করবে বলে আমরা আশাবাদী। তবে হ্যাঁ, কেউ যদি মনে করে অন্য দলের সঙ্গে নির্বাচন করবে অথবা অন্য একটি দলকে জিতিয়ে দেয়ার জন্য অংশগ্রহণ করবেন না, এমনটাও তো হতে পারে। আমরা অবশ্যই ভোটের পরিবেশ তৈরি করবো। আমাদের ভেতরে ও বাহিরে এক। আলাদা কিছু নেই। রোডম্যাপে আমরা আমাদের চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবেলার কথা উল্লেখ করেছি। কোনো কমিশনই কি এর আগে তা করেছে? আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে গতকাল তিনি এ কথা বলেন।
মো. আলমগীর বলেন, ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপসের মাধ্যমে নির্বাচনের সব তথ্য ভোটারসহ সবাইকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য একটি টেকনিক্যাল কমিটিও গঠন করে দেয়া হয়েছে। ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ তৈরি করতে চাচ্ছি। এটা আমরা এবং নাগরিকরাও ব্যবহার করতে পারবে। এতে কার ভোট কোন কেন্দ্রে, প্রার্থী কারা, নির্বাচনি এলাকার ম্যাপ, কোথায় কত ভোট পড়ল ও তার গ্রাফ, ফিগার, কোন প্রার্থী কোথায় এগিয়ে থাকলো, সেগুলো থাকবে। আমরা চাচ্ছি সবাই যাতে সাথে সাথে ভোটের তথ্য দেখতে পারে। যাতে মানুষের মধ্যে সন্দেহ তৈরি না হয়।
তিনি বলেন, অ্যাপসে আট ধরণের তথ্য পাওয়া যাবে। কে জিতল সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারবে সবাই। এটা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত। এজন্য টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা যাচাই করে মতামত দেবে। এরপর কমিশন থেকে সিদ্ধান্ত আসবে। অ্যাপসটি তৈরি করবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। তাদের প্রসেস ততোটা লম্বা হবে না। অ্যাপসটি তৈরি করতে ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগবে।
ইভিএম নিয়ে ভোটারদের শিক্ষা দিতে ম্যাসিভ প্রচারে যাওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। এটি সম্পর্কে জেনে কিংবা না জেনে অনেকে ভ্রান্ত তথ্য প্রচার করছে। তিনি বলেন, ইভিএমে ওভাররাইট করার সুযোগ নেই। কারো আঙ্গুলের ছাপ না মিললে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তার আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ভোট দেয়ার অনুমতি দেয়া হবে। তার আগে তার পরিচিতি এনাআইডি নম্বর দিয়ে সনাক্ত করা হবে। অথচ টক-শোতে বলছেন ওভাররাইট করা যায়। অনেকে বলছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এটাকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত করতে পারেন। কিন্তু আপনারা এসে দেখেন, যে ইভিএম চাইবেন আপনাদের সেটাই পরীক্ষা করতে দেবো, দেশে বিদেশের এক্সপার্ট নিয়ে আসেন, দেখেন। আবার বলা হয়, মামলা হলে কিসের ভিত্তিতে হবে। ভিপি ট্রেইল তো নেই। আমাদের ইভিএমে এর চেয়ে ভাল ব্যবস্থা আছে। সেখানে এক বছর পর্যন্ত সিলগালা অবস্থায় থাকবে। এখানে থেকে কোন মার্কায়, কখন ভোট পড়েছে, কত ভোট পড়েছে সব প্রিন্ট করা যাবে।
ইভিএমের প্রতি ভোটারদের বিশ্বাস আছে জানিয়ে তিনি বলেন, কোথাও দেখেছেন এটা নিয়ে প্রতিবাদ করতে, মিছিল করতে। যারা লিখছেন তারা তো ইভিএম দেখেনইনি, শুনেনওনি। তারপরও লিখে ফেলছেন। ইভিএমটা আসলে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ব্যবহার করছি। আমরা পারলে ৩০০ আসনেই করতাম। ওই বললাম টাকা নেই। আবার ট্রেনিং সম্পন্ন করতে পারবো। আমরা যদি আরো দুই বছর আগে আসতাম, তাহলে ৩০০ আসনে করতাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন