সর্বদলীয় হুরিয়াত কনফারেন্সের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করছে যে, জাতিসংঘ নিউইয়র্কে চলমান ৭৭তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে শান্তিপূর্ণ বিশ্বের একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপনের লক্ষ্যে কাশ্মীর এবং ফিলিস্তিনের মতো বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়ে আসবে। পাক অবজারভার, ডেইলি পার্লামেন্ট টাইমস। এপিএইচসি চেয়ারম্যান মাসাররাত আলম বাট, সিনিয়র নেতা শাব্বির আহমেদ শাহ, নাঈম আহমেদ খান এবং আসিয়া আন্দ্রাবি নয়াদিল্লির তিহার জেল থেকে তাদের বিবৃতিতে বলেছেন, কাশ্মীর এবং ফিলিস্তিন জাতিসংঘের এজেন্ডায় বিদ্যমান প্রাচীনতম বৈশ্বিক বিরোধ এবং এতে ক্রমাগত জীবনহানি হচ্ছে। যখন এই দুটি গুরুতর সমস্যা আসে, তখন দুটি অঞ্চল বিশ্ব সংস্থা হিসেবে জাতিসংঘের সম্পূর্ণ ব্যর্থতার প্রকাশ করে। শ্রীনগরে প্রকাশিত বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কোটি কোটি মানুষের রাজনৈতিক ভবিষ্যত সম্পর্কিত সমস্যাগুলিকে সমাধান না করে, একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্বের জন্য আকাক্সক্ষা করা দিবাস্বপ্নের মতো হবে। তারা যোগ করেছেন, যদি এই সমস্যাগুলি বিশ্ব সংস্থার রেজুলেশন এবং কাশ্মীরি ও ফিলিস্তিনি জনগণের আকাক্সক্ষা অনুসারে সমাধান করা না হয়, কাশ্মীর এবং ফিলিস্তিন বিরোধ জাতিসংঘের বিশ্বাসযোগ্যতার উপর একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন হিসেবে প্রকাশ পাবে। নেতৃবৃন্দ দীর্ঘস্থায়ী কাশ্মীর বিরোধ সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়কে জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তারা বিশ্ব সংস্থাকে রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রথাগত আড্ডার ঊর্ধ্বে উঠতে আহবান জানিয়েছে এবং কাশ্মীর এবং ফিলিস্তিনের মতো বিরোধের মোকাবিলা করার জন্য চলমান ৭৭তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশন চলাকালীন একটি শান্তিময় পৃথিবীর জন্য শক্তিশালী এবং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এসে তার দায়িত্ব পালন করতে আহ্বন করেছে। এপিএইচসি নেতারা বিশ্ব স¤প্রদায়কে তার প্রতিশ্রুতিগুলি যেমন: কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং ভারতকে নিপীড়ন ও বেআইনী কাজ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। বলেন যে, ‹যথেষ্ট হয়েছ’। জাতিসংঘের উচিত অবৈধভাবে ভারত কতৃক দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীর-এর জনসংখ্যা, সংস্কৃতি এবং পরিচয় পরিবর্তনের লক্ষ্যে তার অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য মোদী সরকারকে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠানো। এপিএইচসি-এজেকে অধ্যায়ের আহ্বায়ক মেহমুদ আহমদ সাঘরা, উজাইর আহমদ গাজালি, আলতাফ আহমদ বাট এবং শাব্বির আহমদ সহ অন্যরা তাদের বিবৃতিতে বিশ্ব প্ল্যাটফর্ম হিসেবে জাতিসংঘের কাছে একই দাবি উত্থাপন করেছেন। পাক অবজারভার, ডেইলি পার্লামেন্ট টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন