ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা (ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি) মন্ত্রী পদের জন্য অবসরপ্রাপ্ত নৌ বাহিনীর জেনারেল জন এফ কেলি’কে মনোনয়ন দিয়েছেন। ক্ষমতা হস্তান্তর দলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জন কেলি সন্ত্রাসবাদ দমন এবং অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের ব্যাপক ও কষ্টসাধ্য কাজটি করবেন। তারা আরও জানান, জন কেলিকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে কারণ তার, মেক্সিকোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে অবৈধ মাদক, সন্ত্রাসবাদ এবং অন্য যেসব হুমকি আসে, তা মোকাবেলায় তার ইচ্ছা রয়েছে।
জন কেলি গত বছর সীমান্ত নিরাপত্তার ব্যাপারে বেশ সোচ্চার হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকায় হাজার হাজার মানুষ চোরাচালানের সাথে যুক্ত, এমনকি শিশুরাও। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি ট্রাম্পের সীমান্ত নিরাপত্তা নীতির সাথে পুরোপুরি একমত। তাই ট্রাম্প তাকে এ পদের জন্য নির্বাচন করেছেন। নির্বাচিত করার পর কেলি বলেন, তিনি ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করবেন।
সিনেটের সশস্ত্র বাহিনী কমিটির এক বৈঠকে কেলি বলেন, চোরাকারবারিদের পথ ধরেই সন্ত্রাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে। তারা আগ্নেয়াস্ত্রসহ ব্যাপক ধ্বংসাত্মক সরঞ্জামাদি নিয়ে ঢোকে, যা আমাদের জনগণের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো বন্ধ করতে না পারলে আমরা হুমকির মুকেই থেকে যাবো।
এক সময় কিউবায় কুখ্যাত গুয়ান্তানামা বে কারাগারের দায়িত্বে থাকা কেলির পুত্র লেফটেন্যান্ট রবার্ট মাইকেল কেলি ২০১০ সালে আফগান যুদ্ধে মারা যায়। তখন কেলি তখন শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছিলেন। ওই ঘটনার পর তিনি সর্বোচ্চ সামরিক কর্মকর্তার পদমর্যাদা পান।
তবে অনেকেই ভেবেছিল, অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নে ট্রাম্প কানসাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস কোবাসকে পছন্দ করবেন। কারণ কোবাস অভিবাসন নীতির ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি কট্টর ছিলেন। কিন্তু ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে অনেকেই হতাশ হয়েছেন।
আমেরিকাস ভয়েস-এর নির্বাহী পরিচালক ফ্রাঙ্ক সেরি বলেন, কেলির ভাবনা হচ্ছে, চোরাচালানের পথ ধরে সন্ত্রাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকছে, এটা ট্রাম্পের পুরো অভিবাসন নীতির সামান্য মাত্র। তবুও তিনি হয়তো সে ভাবেই বোঝাপড়া করে এসেছেন।
সেরি বলেন, একটি ইতিবাচক দিক হচ্ছে, তিনি অভিবাসন ব্যবস্থার মূল সমস্যাটা বুঝতে পেরেছেন, কিন্তু মধ্য আমেরিকার দেশগুলোতে সহিংসতার ব্যাপারে কিছুই বলেননি। নিউইয়র্ক টাইমস, ভিওএ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন